সাপ্তাহিক ছুটির দিন শুক্রবার (৬ জুলাই) রাজধানীর শ্যামবাজারে পাইকারি বাজারের বিক্রেতারা জানালেন, তেল, ডাল, আটাসহ অন্য নিত্যপণ্যের বাজার দর প্রায় স্বাভাবিক রয়েছে।
শ্যামবাজারের কয়েকটি দোকান ঘুরে দেখা গেছে, ছোলার কেজি ৭০ টাকা, মসুর ডাল ৮৫ টাকা, সয়াবিন তেল ৮৮ টাকা, পামওয়েল ৭৫ টাকা ও আটা দুই কেজির প্যাকেট বিক্রি হচ্ছে ৭০ টাকায়।
পাইকারি ও খুচরা ব্যবসায়ী বাবুল সাহা বলেন, মসুরের ডাল সপ্তাহ শেষে ১-২ টাকা বেড়েছে। অন্য পণ্যের দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। তবে রোজার পর ছোলার চাহিদা কমে যাওয়ায় দাম আরও কমতে পারে।
নিত্যপণ্যের মধ্যে ভাতের চালের দাম সপ্তাহ শেষে বেড়েছে ২-৩ টাকা। আর পোলাও চালের দাম বেড়েছে অন্তত ৫ টাকা। মিনিকেট সপ্তাহ শেষে ৩ টাকা বেড়ে হয়েছে ৫৬ টাকা, স্বর্ণা ৪০ থেকে বেড়ে ৪২ টাকা, ২৮ নম্বর হিসেবে পরিচিত চাল ৩ টাকা বেড়ে ৪৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আর চিনিগুঁড়া চাল বিক্রি করছেন ৯০ টাকা কেজি, যা এক সপ্তাহ আগে ছিল ৮৫ টাকা।
বাজারে চালের দাম নিয়ে নির্দিষ্ট করে কিছু বলা না গেলেও ব্যবসায়ীরা চালের দাম বাড়ার আশঙ্কা করছেন। ব্যবসায়ী বাবুল সাহা বলেন, চাল বেশিরভাগ আসে ভারত থেকে। সেখানে আমদানিতে ভ্যাট বসানো হয়েছে। এতে দাম বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে।
তবে দেশের আড়তদারেরা চাইলে চালের দাম স্বাভাবিক রাখতে পারবেন বলেও মনে করেন পাইকারি ব্যবসায়ী শাকিল আহমেদ। শ্যামবাজারের মাছের বাজারের পাশের শাকিল ট্রেডার্সের দোকানদার শাকিল বলেন, আড়তদারেরা চাল মজুদ না করলে দাম স্বাভাবিক থাকবে। ব্যবসায়ীরা কখন, কী করে, সেটা দেখভাল করতে হবে।
সাপ্তাহিক ছুটির দিনে কাঁচাবাজার সেরে শ্যামবাজারে মুদি দোকানে নিত্যপণ্য কিনছিলেন সরকারি চাকরিজীবী মুনাজ আহমেদ। তিনি বলেন, বাজারে চালের দাম ছাড়া অন্য পণ্যের মূল্য প্রায় স্বাভাবিক রয়েছে। তবে চালের দাম যাতে না বাড়ে সেজন্য নজরদারি বাড়াতে হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১০৫০ ঘণ্টা, জুলাই ০৬, ২০১৮
এমআইএইচ/আরআর