রোববার (৮ জুলাই) সকালে কথাগুলো বলছিলেন, বেনাপোল বাইপাস সড়কে দীর্ঘ লাইনে আমদানি পণ্য নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকা ভারতীয় ট্রাকচালক সঞ্জয় দেওয়ারী।
লাইনে দাঁড়ানো আরেক চালক অনিমেষ বলেন, বন্দরে নিরাপত্তা ব্যবস্থা ভালো না।
বন্দর এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, বন্দরের অভ্যন্তরে জায়গা না থাকায় আমদানি করা ট্রাক চেসিসগুলো রেল লাইনের খাদে, মহাসড়কের দু’পাশে, আবার কারও ব্যক্তিগত বাড়ির আঙিনায় নিরাপত্তাহীনতার মধ্যে পড়ে আছে। এতে একদিকে পণ্যের ক্ষতির যেমন আশঙ্কা রয়েছে, অন্যদিকে বিভিন্ন অনিয়মের ঝুঁকি রয়েছে।
বেনাপোল আমদানি-রফতানি সমিতির সহ-সভাপতি আমিনুল হক বলেন, বর্তমানে নানা সংকটে জর্জরিত বেনাপোল বন্দর। বন্দরে পণ্য খালাসের অপেক্ষায় দাঁড়িয়ে থাকা ট্রাকের জন্য প্রতিদিন দুই হাজার টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে হয়। এতে আমদানিকারকরা লাভের মুখ দেখতে পায় না। এছাড়া বন্দরে পণ্য পরীক্ষাগার না থাকায় সেখানেও দিনের পর দিন খালাসের জন্য অপেক্ষা করতে হয়। এতে ব্যবসায়ীরা লোকসানের শিকার হয়ে এ বন্দর থেকে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছে। দেশে শিল্প কারখানায় উৎপাদন কাজও মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে। এতে আমদানি লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী সরকারের রাজস্বও আদায় হচ্ছে না।
নিটল মটরসের আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান নিতা কোম্পানির সুপারভাইজার এনামুল হক বলেন, এ বন্দরের সবচেয়ে বেশি রাজস্বদাতা আমরা। প্রতি বছর আমদানি করা পণ্য থেকে হাজার হাজার কোটি টাকা রাজস্ব দিচ্ছি। কিন্তু আমদানি পণ্যের নিরাপত্তায় কোনো আন্তরিকতা নেই বন্দর কর্তৃপক্ষের। বন্দরের মধ্যেও আমদানিকারকের নিজস্ব ব্যবস্থায় পণ্যের নিরাপত্তা দিতে হয়। বন্দরের বাইরে অবহেলায় পড়ে থেকে পণ্যের গুণগত মান নষ্ট হচ্ছে। এতে সব সময় দুশ্চিন্তায় থাকতে হয়। বন্দর কর্তৃপক্ষকে অভিযোগ জানিয়েও কোনো কাজ হয় না।
বেনাপোল বন্দর পরিচালক (ট্রাফিক) আমিনুল ইসলাম বলেন, বন্দরে জায়গার সংকটের কারণে কিছু সমস্যা হচ্ছে। তবে পণ্যাগার বাড়াতে নতুন জমি অধিগ্রহণের প্রক্রিয়া চলছে। বন্দরে কিছু উন্নয়নকাজও শুরু হয়েছে। এসব কাজ শেষ হলে সমস্যা আর থাকবে না।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৫৮ ঘণ্টা, ৮ জুলাই, ২০১৮
এজেডএইচ/আরআর