আর ১৫ থেকে ১০০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে ডিম, মাংস ও মাছের দাম। তবে চাল, ডাল, তেল ও মসলা জাতীয় পণ্যের দাম একই রয়েছে।
শুক্রবার (১৩ জুলাই) রাজধানীর হাতিরপুল বাজারে প্রতিকেজি উচ্ছে বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকায়, করলা ৬০ থেকে ৭০ টাকায়, বেগুন ৬০ থেকে ৮০ টাকা, কাকরোল ৭০ টাকা, শসা ৫০ টাকা, পটল ৫০ টাকা, ঝিঙা ৫০ টাকা, ধুন্দুল ৫০ টাকা, লাউ ৬০ টাকা, টমেটো ৮০ থেকে ১০০ টাকা, গাজর ৯০ থেকে ১২০ টাকা, কাঁচা মরিচ ১৪০ টাকা, পেঁপে ৪০ টাকা, বরবটি ৬০ টাকা, কচুর লতি ৬০ থেকে ৭০ টাকা, কচুর ছড়া বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকায়। প্রতি পিস ফুলকপি ৭০ টাকা ও বাঁধা কপি ৮০ টাকায় বিক্রি করতে দেখা যায়।
এ বাজারের সবজি বিক্রেতা মো. আলম বাংলানিউজকে বলেন, এখন সবজির ভরা মৌসুম না হওয়ায় পাইকারি বাজারে সব ধরনের সবজির দাম বাড়তি। পাইকারি বাজারে দাম বাড়তি হওয়ায় খুচরাতেও এর কিছুটা প্রভাব পড়েছে।
এ বাজারের ক্রেতা আবু মুরসালিন ফাহিন বলেন, গত সপ্তাহের চেয়ে আজ কোনো কোনো সবজির দাম ২০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। টমেটো গত সপ্তাহে ৮০ টাকা হলেও আজ ১০০ টাকা চাওয়া হচ্ছে। গাজর আজ ২০ টাকা বেশি দরে বিক্রি হচ্ছে। পাইকারি-খুচরা বাজারের ব্যবধান জানি না। তবে প্রতিনিয়ত ব্যবসায়ীরা পণ্যের দাম বাড়াচ্ছেন।
শান্তিনগর বাজারে দেখা যায়, মাছ ও মাংসের দাম বেশ চড়া। প্রতিকেজি মাংসে ২০ টাকা থেকে ৩০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। আর মাছ ভেদে বেড়েছে ২০ থেকে ১০০ টাকা পর্যন্ত। এ বাজারে গরুর মাংস প্রতিকেজি ৫২০ টাকা, খাসির মাংস ৮০০ টাকা, মুরগি ব্রয়লার ১৬০ টাকা, লেয়ার ২৪০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
প্রতিকেজি রুই ২৫০ থেকে ৪৫০ টাকা, পাঙাস ১৪০ থেকে ২০০ টাকা, চিংড়ি ৬০০ থেকে ১২০০ টাকা, টেংরা ৮০০ থেকে ১০০০ টাকা, শিং ৬০০ থেকে ১০০০ টাকা, মাগুর (দেশি) ৭০০ থেকে ১০০০ টাকা, থাকই কৈ ২০০ থেকে ২৫০ টাকা, কৈ (দেশি) ৮০০ টাকা, তেলাপিয়া ১৮০ টাকা, বাইন মাছ ৮০০ থেকে ১০০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
সেগুনবাগিচা বাজার ঘুরে দেখা যায়, ডিম বিক্রি হচ্ছে বাড়তি দামে। ডিম ভেদে প্রতি ডজনের দাম বেড়েছে ১০ থেকে ২০ টাকা পর্যন্ত। ব্রয়লার মুরগির ডিম প্রতি ডজন ৯৫ টাকায়, দেশি মুরগির ডিম ১৪০ টাকা এবং হাঁসের ডিম বিক্রি হচ্ছে ১৪০ টাকায়।
তবে, এসব বাজার ঘুরে দেখা গেছে, চাল, ডাল, তেল ও মসলা জাতীয় পণ্যের দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১০১২ ঘণ্টা, জুলাই ১৩, ২০১৮
ইএআর/এসআই