রোববার (১৫ জুলাই) রাজধানীর ওসমানী অডিটোরিয়ামে জাতীয় রপ্তানি ট্রফি প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তোফায়েল আহমেদ বলেন, সম্প্রতি ইউরোপিয় ইউনিয়নের পার্লামেন্টের ট্রেড কমিটি আমাদের সঙ্গে বৈঠক করে অ্যাকর্ড ও অ্যালয়েন্সের মেয়াদ আরো বাড়ানোর প্রস্তাব দিয়েছিল।
‘আমরা তাদের বোঝাতে সক্ষম হয়েছি, আমাদের পোশাকখাতে রেমিডিয়েশন কো-অর্ডিনেশন সেল (আরসিসি) এখন যথেষ্ট শক্তিশালী। আমরা অনেক ইঞ্জিনিয়ারকে নিয়োগ দিয়েছি। আমাদের ইঞ্জিনিয়াররাই কারখানা পরিদর্শনে সক্ষম। এছাড়া আমাদের পোশাক কারখানাও অনেক আধুনিক হয়েছে। অধিকাংশ কারখানা গ্রিন ফ্যাক্টরিতে রূপান্তরিত হয়েছে। ’
তিনি বলেন, রানা প্লাজা ধসের পর কোনো পোশাক কারখানায় দুর্ঘটনা ঘটেনি। আমাদের তৈরি পোশাক খাত দেখে অনেকেই ঈর্ষানিত। এসব প্রতিকূলতা মোকাবেলা করে এগিয়ে যাচ্ছে পোশাক খাত। গত অর্থবছরে আমাদের তৈরি পোশাক রপ্তানি হয়েছে ৩০ দশমিক ৬ বিলিয়ন ডলার।
‘১৯৯টি দেশে ৭৪৪ ধরনের পণ্য রপ্তানি হচ্ছে। সেবাখাতসহ রপ্তানির লক্ষ্যমাত্রা ৪০ দশমিক ৯৪ বিলিয়ন ডলার ধরা হলেও অর্জিত হয়েছে ৩৬ দশমিক ৭ বিলিয়ন ডলার। ’
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, রপ্তানি প্রক্রিয়াজাতকরণ এলাকার (ইপিজেড) উদ্যোক্তাদের জন্যও আগামীতে রপ্তানি ট্রফি দেওয়া হবে। আমরা আইটি, লেদার, শিপ বিল্ডিং, ওষুধ, প্লাস্টিক, ফার্নিচার এবং পাট ও পাটজাত পণ্য রপ্তানিতে গুরুত্ব দিয়েছি। এসব খাতে নগদ সহায়তাও সবচেয়ে বেশি। সিদ্ধান্ত নিয়েছি আগামীতে আমরা রপ্তানি প্রক্রিয়াজাতকরণ এলাকায় বিনিয়োগকারীদের জন্যও রপ্তানি ট্রফি চালু করার।
অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সর্ম্পকিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি মো. তাজুল ইসলাম চৌধুরী, ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআই সভাপতি সফিউল ইসলাম মহিউদ্দিন, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব শুভাশীষ বুস ও রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) ভাইস চেয়ারম্যান বিজয় ভট্টাচার্য বক্তব্য দেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৩০৮ ঘণ্টা, জুলাই ১৫, ২০১৮/আপডেট: ১৫১৩ ঘণ্টা
এসই/এমএ