তবে বিজিবি কর্তৃপক্ষে দাবি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন পত্র থাকায় তারা তদারকি কাজে নেমেছেন।
সোমবার (১৬ জুলাই) দুপুর দেড়টায় বেনাপোল বন্দরে গিয়ে সব ধরনের বাণিজ্যিক কার্যক্রম বন্ধ থাকতে দেখা যায়।
এদিকে আমদানি বাণিজ্যে বিজিবির তদারকির প্রতিবাদে কাস্টমস কর্তৃপক্ষে সঙ্গে স্থানীয় ব্যবসায়ী সংগঠনের নেতারা একমত ঘোষণা করায় কর্মসূচি আরও তীব্র আকার ধারণ করেছে।
রোববার (১৫ জুলাই) আমদানি বাণিজ্য বন্ধ থাকলেও কাস্টমস ও বন্দরে পণ্য খালাস কার্যক্রম চলেছিল। কিন্তু সোমবার সকাল থেকে কাস্টমস হাউজে অফিসিয়াল কার্যক্রম বন্ধ করে দেওয়ায় আমদানি-রফতানি দুটাই বন্ধ হয়ে যায়।
বেনাপোল সিঅ্যান্ডএফ অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক ইমদাদুল হক লতা বাংলানিউজকে বলেন, আমদানি-রফতানি সংক্রান্ত বিষয়ে একমাত্র জাতীয় রাজস্ব বোর্ড নিয়ন্ত্রণ করে থাকে। এর মধ্যে বিজিবির হস্তক্ষেপ সাংঘর্ষিক। সুষ্ঠু সমাধান না হলে ব্যবসায়ীরাও এ পথে আমদানি-রফতানি করবে না বলে তিনি জানান।
বেনাপোল চেকপোস্ট কাস্টমস কার্গো শাখার রাজস্ব কর্মকর্তা (সুপারেন্টেন্ড) হারুনর রশিদ বলেন, এখন পর্যন্ত কোনো সমাধান না হওয়ায় বাণিজ্যিক কার্যক্রম বন্ধ রাখা হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে আলোচনা চলছে।
যশোর ৪৯ বিজিবির অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল আরিফুল হক জানান, তাদের কাছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন পত্র থাকায় তারা অনিয়ম তদারকি কাজে নেমেছেন।
এরআগে গত (১৪ জুলাই) শনিবার সন্ধ্যায় চেকপোস্ট কাস্টমস কার্গো শাখা অফিসে হঠাৎ করে বিজিবি সৈনিকরা চেয়ার বসিয়ে আমদানি-রফতানিতে তদারকি কাজ শুরু করে। এছাড়া বন্দর এলাকায় তাদের টহল দিতেও দেখা যায়। কাস্টমস-বন্দর কর্তৃপক্ষে অবহিত না করে বিজিবি সদস্যদের বন্দরে অবস্থানের প্রতিবাদে কাস্টমস সদস্যরা কাজ বন্ধ করে দেয়।
এদিকে কাস্টমসের কর্মবিরতিতে আমদানি-রফতানি বন্ধে বন্দরে পণ্যজট সৃষ্টি হয়েছে। এতে দুর্ভোগ বেড়েছে পথচারীদের। বেনাপোল বন্দরে প্রবশের অপেক্ষায় ভারতের পেট্রাপোল বন্দরে প্রায় সহশ্রাধিক ট্রাক আটকা পড়েছে। পচনশীল পণ্য নিয়ে বিপাকে পড়েছেন ব্যবসায়ীরা। দু’পক্ষ তাদের সিদ্ধান্তে অটল থাকায় অচল অবস্থার তৈরি হয়েছে। দুঃচিন্তায় পড়েছেন ব্যবসায়ীরা।
বাংলাদেশ সময়: ১৪০৩ ঘণ্টা, জুলাই ১৬, ২০১৮
এজেডএইচ/ওএইচ/