গেল অর্থবছরে ৮০৭ কোটি টাকা রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে ভোমরা বন্দর থেকে রাজস্ব আয় হয়েছে ৭৮৫ কোটি ৩৩ লাখ ৭৯ হাজার ৪৫৫ টাকা। ঘাটতি থেকে যায় ১১ কোটি ৬৬ লাখ ২০ হাজার ৫৪৫ টাকা।
ভোমরা স্থলবন্দর শুল্ক স্টেশন সূত্রে জানা যায়, এ বন্দরে ২০১৭-১৮ অর্থবছরে ২০১৭ সালের জুলাই মাসে ৫৪ কোটি ৯১ লাখ টাকা রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে ৪৯ কোটি ৮ লাখ ৪৩ হাজার ৪৮৬ টাকা, আগস্ট মাসে ৫৯ কোটি ৩৩ লাখ টাকার বিপরীতে ৬৩ কোটি ৫১ লাখ ৪ হাজার ৩৭০ টাকা, সেপ্টেম্বর মাসে ৬১ কোটি ৬৪ লাখ টাকার বিপরীতে ৪৩ কোটি ৩৯ লাখ ৬৬ হাজার ৮১৮ টাকা, অক্টোবর মাসে ৬২ কোটি ১৭ লাখ টাকার বিপরীতে ৫৭ কোটি ৯৭ লাখ ৭ হাজার ৪৪১ টাকা, নভেম্বর মাসে ৬৩ কোটি ৪২ লাখ টাকার বিপরীতে ৮৩ কোটি ৪৫ লাখ ১৪ হাজার ৫৬৬ টাকা, ডিসেম্বর মাসে ৬৪ কোটি ৭৯ লাখ টাকার বিপরীতে ৮২ কোটি ৮২ লাখ ১৮ হাজার ৯৯ টাকা এবং ২০১৮ সালের জানুয়ারি মাসে ৬৭ কোটি ২৮ লাখ টাকার বিপরীতে ৮৭ কোটি দুই লাখ ৭৬ হাজার ৪৮৮ টাকা, ফেব্রুয়ারি মাসে ৬৭ কোটি ৬৪ লাখ টাকার বিপরীতে ৯৭ কোটি ৫৩ লাখ ২২ হাজার ২২৪ টাকা, মার্চ মাসে ৬৮ কোটি ১৬ লাখ টাকার বিপরীতে ৯৯ কোটি ৫২ লাখ ২১ হাজার ৪৩৭ টাকা, এপ্রিল মাসে ৭৫ কোটি ৬১ লাখ টাকার বিপরীতে ৬৩ কোটি ৪০ লাখ ৩৩ হাজার ৯৬০ টাকা, মে মাসে ৭৮ কোটি ৫৯ লাখ টাকার বিপরীতে ৩৬ কোটি ৫৯ লাখ ৩১ হাজার ৯০৮ টাকা ও জুন মাসে ৮৩ কোটি ৪৬ লাখ টাকার বিপরীতে ৩১ কোটি দুই লাখ ৩৮ হাজার ৬৫৮ টাকা রাজস্ব আয় হয়েছে।
এতে নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে ঘাটতি রয়েছে ১১ কোটি ৬৬ লাখ ২০ হাজার ৫৪৫ টাকা।
এ ব্যাপারে ভোমরা স্থলবন্দর সিঅ্যান্ডএফ অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান নাসিম বাংলানিউজকে বলেন, ভোমরা অত্যন্ত সম্ভাবনাময় একটি বন্দর। প্রতিবছর এ বন্দর থেকে সরকার প্রচুর পরিমাণ রাজস্ব আয় করে। কিন্তু শুল্ক বৃদ্ধি করায় চাল আমদানি কমে যায়। এতে ভোমরা বন্দর রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে ব্যর্থ হয়েছে। যদিও সেটির পরিমাণ খুবই কম।
ভোমরা স্থলবন্দর শুল্ক স্টেশনের সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা সুমন মন্ডল বাংলানিউজকে বলেন, ২০১৭-১৮ অর্থবছরে রাজস্ব আহরণের লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে ১১ কোটি ৬৬ লাখ ২০ হাজার ৫৪৫ টাকা ঘাটতি রয়েছে। চলতি সপ্তাহের মধ্যেই ২০১৮-১৯ অর্থবছরের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৪২৩ ঘণ্টা, জুলাই ১৭, ২০১৭
জিপি