শুক্রবার (২০ জুলাই) খুলনার সবচেয়ে বড় ইলিশের পাইকারি বাজার কেসিসি রূপসা পাইকারি মৎস্য আড়তে গিয়ে ইলিশের দাম নিয়ে ক্রেতাদের অস্বস্তি প্রকাশ করতে দেখা গেছে।
ট্রাক ও ট্রলার থেকে নামানো টাটকা ইলিশ পাওয়া যায় বিভাগের সবচেয়ে বড় এ আড়তে।
শামীম নামের এক ক্রেতা বলেন, ইলিশ কিনতে এসে দাম শুনে ফিরে যেতে হচ্ছে। এত চড়া দামে সাধারণ মানুষের পক্ষে ইলিশ কেনা সম্ভব নয়।
সাইফুল ইসলাম নামে এক ক্রেতা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ইলিশের এখন ভরা মৌসুম। এখনও যদি চড়া দামে কিনতে হয় তাহলে তো খুবই দুঃখজনক।
আষাঢ়, শ্রাবণ, ভাদ্র ও আশ্বিন এই চার মাস ইলিশ ধরার উপযুক্ত মৌসুম হিসেবে বিবেচনা করা হয়। এখন শ্রাবণ মাস চললেও ইলিশ মিলছে খুবই কম।
আড়তদাররা জানান, উপকূলীয় এলাকায় এখন আর আগের মতো মাছ পাওয়া যাচ্ছে না। ভরা মৌসুম চললেও জেলেদের জালে ইলিশ তেমন ধরা পড়ছে না।
তাদের দাবি, চাহিদার তুলনায় চলতি মৌসুমে ইলিশের সরবরাহ কম থাকায় মাছ কিনতে গুণতে হচ্ছে বাড়তি দাম, যার নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে খুচরা বাজারে।
বাজারের মুজাহিদ ফিসের আড়ৎদার আবু মুসা বাংলানিউজকে বলেন, ইলিশের মৌসুম চললেও সরবরাহ কম। যে কারণে দাম বেশি।
তিনি জানান, গত কয়েক বছরের তুলনায় এবার বাজারে বড় আকারের ইলিশ আসছে। দামও বেশি। এক কেজির বেশি ওজনের ইলিশের পাইকারি মূল্য ১৮শ’-১৯শ’ টাকা। আর খুচরা ১৯শ’- ২ হাজার টাকা। এক কেজি সাইজের ইলিশের পাইকারি দাম ১৫ শ’-১৬শ’ টাকা, আর খুচরা বাজারে ১৬শ’-১৭শ’ টাকা। ৫শ’ গ্রাম সাইজের ইলিশের দাম পাইকারি ৭শ’-৮শ’ টাকা, আর খুচরা ৮শ’-৯শ’ টাকা। ৫শ’ গ্রামের সাইজের নিচের ইলিশের পাইকারি দাম ৬শ’-৭শ’ টাকা ও ৮শ’-৯শ’ গ্রামের ইলিশের দাম ১২শ’-১৪শ’ টাকা।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ব্যবসায়ী অভিযোগ করেন, সরবরাহ কমের পাশাপাশি ইলিশ ভর্তি একটি গাড়ি নির্দিষ্ট স্থানে পৌঁছাতে বিভিন্ন জায়গায় পুলিশকে চাঁদা দিতে হচ্ছে। তাই মাছের দাম একটু চড়া।
আকাশ ফিসের ইলিশ ব্যবসায়ী আনোয়ার হোসেন বলেন, এ বাজারে বরগুনা, ভোলা, চাঁদপুর, চরদোয়ানি ও পাথরঘাটা থেকে ইলিশ আসে।
কেসিসি রূপসা সাদামাছ আড়ৎদার বহুমুখী সমবায় সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. জাহিদুর রহমান জন্টু বাংলানিউজকে বলেন, দুই-চারদিন আগে ইলিশের ভালো সরবরাহ ছিলো। কিন্তু হঠাৎ করে কমে গেছে। ২৮ জুলাইয়ের পর সামদ্রিক মাছ ধরার অনুমতি দেবে সরকার। তখন মাছের সরবরাহ বাড়বে। দামও কমে যাবে।
বাংলাদেশ সময়: ০৯৪১ ঘণ্টা, জুলাই ২০, ২০১৮
এমআরএম/আরআর