সোমবার (২৩ জুলাই) রাজধানী টোকিওতে কিওই নাদামান হোটেলে দেশটির পররাষ্ট্রবিষয়ক পার্লামেন্টারি ভাইস মিনিস্টার ইয়াও হোরির সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় আলোচনার সময় এ আহ্বান জানান তিনি। বাণিজ্য মন্ত্রাণালয়ের পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
তোফায়েল আহমেদ বলেন, জাপান বাংলাদেশের ঘনিষ্ঠ বন্ধুরাষ্ট্র। বাংলাদেশ সফরে জাপানিদের ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করা প্রয়োজন। এ বিষয়ে জাপান সরকার দ্রুত ব্যবস্থা নিলে বাংলাদেশ খুশি হবে। উভয় দেশের বাণিজ্যিক ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক দীর্ঘদিনের। আগামীতে এ সম্পর্ক আরও জোরদার হবে।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ এখন বিনিয়োগের জন্য খুবই উপযোগী ও লাভজনক স্থান। বিনিয়োগকারীরা নিরাপদ বিনিয়োগ করতে পারেন। সরকার বিনিয়োগকারীদের বিশেষ সুযোগ-সুবিধা দিচ্ছে।
সরকার ঘোষিত ১শ’টি স্পেশাল ইকোনমিক জোনে জাপান বিনিয়োগ করলে লাভবান হবে উল্লেখ্য করে মন্ত্রী বলেন, সরকার এ বিষয়ে সবধরণের সহযোগিতা দিচ্ছে প্রয়োজনে আরও দেবে। এছাড়া জাপান ও বাংলাদেশের মধ্যে নিয়মিত পাবলিক-প্রাইভেট ইকোনমিক ডায়ালোগের চতুর্থ বৈঠক ঢাকায় অনুষ্ঠানের প্রস্তাব দেন বাণিজ্যমন্ত্রী।
জাপানি ভাইস মিনিস্টার বলেন, বাংলাদেশের অবকাঠামোর উন্নয়ন, বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বৃদ্ধি এবং সামাজিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে জাপানের সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে। আগামীতে বাংলাদেশে জাপানের বাণিজ্য ও বিনিয়োগ আরও বৃদ্ধি করতে বিশেষ উদ্যোগ নেওয়া হবে।
রোহিঙ্গা ইস্যুতে তিনি বলেন, রোহিঙ্গাদের নিজ দেশে প্রত্যাবাসনের জন্য মিয়ানমার সরকারের সঙ্গে আলোচনার পাশাপাশি সরকারকে ও উৎসাহিত করা হবে। এ বিষয়ে আন্তর্জাতিক তদন্ত করার পক্ষে জাপান সরকার প্রচেষ্টা চালিয়ে যাবে।
এ সময় বাণিজ্যমন্ত্রীর সঙ্গে জাপানে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত রাবাব ফাতিমা, দেশের ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার্স অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (এফবিসিসিআই) সভাপতি শফিউল ইসলাম মহিউদ্দিন, পোশাক প্রস্তুত ও রফতানিকারক ব্যবসায়ীদের সংগঠনের (বিজিএমইএ) সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ও ডিটিও মো. ওবায়দুল আযমসহ ব্যবসায়ী প্রতিনিধিদলের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ১০১২ ঘণ্টা, জুলাই ২৪, ২০১৮
এমএফআই/ওএইচ/