এতে লোকজনের কর্মসংস্থানও হয়েছে। যা উত্তরের অর্থনীতিতে ইতিবাচক প্রভাব ফেলছে।
নীলফামারী জেলার সৈয়দপুর উপজেলার বোতলাগাড়ি ইউনিয়নে শ্বাসকান্দর এলাকায় ইকু পেপার মিলটি গড়ে উঠেছে। প্রায় তিন একর জমির ওপর গড়ে ওঠা মিলটি গত বছর থেকে উৎপাদন শুরু করেছে। প্রথমে প্রকল্পটির ব্যয় ধরা হয় ৮৭ কোটি টাকা। পরবর্তীতে অবকাঠামোসহ বিভিন্ন কারণে প্রায় ১০০ কোটি টাকা ব্যয়ের পর উৎপাদন শুরু হয়।
কাগজ উৎপাদনের কাঁচামাল স্থানীয়ভাবে এবং কিছু বিদেশ থেকে আমদানি করা হচ্ছে। মিলের একদল নারী শ্রমিক সেগুলো বাছাইয়ের পর কাগজের মণ্ড তৈরি করে উপকরণ মেশানোর পর তৈরি হচ্ছে নিউজপ্রিন্ট ও সাদা কাগজ। এসব কাগজ বর্তমানে উত্তরের বাজার দখল করে নিয়েছে। দাম কম হওয়ায় দিন দিন এর চাহিদা বেড়েই চলেছে।
সৈয়দপুর শহরে মহাসড়কের পাশে গড়ে ওঠা পেপার মিলটিতে কর্মকর্তাসহ প্রায় ২০০ শ্রমিক কাজ করছেন।
এরই মধ্যে সরকারি উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তাসহ সৈয়দপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. বজলুর রশীদ এবং উপজেলা পর্যায়ের কর্মকর্তারা মিলটি পরিদর্শন করেন। এসময় ইউএনও কাগজ তৈরির কার্যক্রম দেখে সন্তোষ প্রকাশ করে বলেন, মিলটি কিছুটা হলেও উত্তরের কাগজের চাহিদা মেটাতে পারবে।
ইকু পেপার মিলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সিদ্দিকুল আলম।
তিনি বাংলানিউজকে বলেন, ট্রাস্ট ব্যাংক লিমিটেডের অর্থায়নে পেপার মিলটি চালু করা হয়েছে। খুব শিগগিরি মিলটি আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করা হবে। কাগজ উৎপাদনে বিদ্যুতের প্রয়োজন। একবার বিদ্যুৎ চলে গেলে মিলটি চালু করতে ৩০ থেকে ৪০ মিনিট সময় লাগে। বিদ্যুৎ ট্রিপের কারণে মিলের যন্ত্রাংশ পুড়ে যাওয়া এবং নষ্ট হওয়ার ঘটনা প্রায় ঘটে। এ কারণে তিনি নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহের দাবি জানান।
বাংলাদেশ সময়: ১৬০৩ ঘণ্টা, জুলাই ২৯, ২০১৮
আরএ