এই রুফ টাইল ব্যবহারে একদিকে যেমন আর্থিক সাশ্রয়, অন্যদিকে পরিবেশ সুরক্ষাও হবে। বিভিন্ন রঙয়ের রুফ টাইল বাজারে নিয়ে এসেছে ‘ঢাকা-সিংহাং কোম্পানি’।
সারাদেশে এই রুফ টাইল ছড়িয়ে দিতে চলছে ডিলারশিপ নিয়োগ।
রাজধানীর কারওয়ান বাজারে নিজ অফিসে এমজিও রুফ টাইল এবং এমজিও বোর্ডের খুঁটিনাটি দিক তুলে ধরেন এএইচ সিদ্দিকী। তার ভাবনায় দেশের পরিবেশ সুরক্ষার কথাটি বার বার উঠে এসেছে। ‘আগুন প্রতিরোধক, পরিবেশবান্ধব গড়বো বাংলাদেশ’ স্লোগান নিয়ে এগিয়ে চলছে তার স্বপ্ন যাত্রা।
ম্যাগনেশিয়াম অক্সাইড এবং ম্যাগনেশিয়াম ক্লোরাইড, ট্যালকম পাউডার ফাইবার গ্লাস ক্লথ ও অন্যান্য আগুন প্রতিরোধকে তৈরি রুফ টাইল শতভাগ পরিবেশবান্ধব। এর বড় বৈশিষ্ট হচ্ছে পরিবেশবান্ধব শতভাগ নন-অ্যাসবেসটস উপাদানে তৈরি তাই পরিবেশ এবং মানুষের কোনো ক্ষতি করে না। আয়রন ক্রাউন এমজিও রুফ টাইল বিভিন্ন জৈব পদার্থ দিয়ে তৈরি তাই এটি আগুনে পুড়ে না। গ্রেড-এ১ দ্বারা পরীক্ষিত। এটি শব্দ প্রতিরোধক। বাইরের শব্দ ভেতরে প্রবেশ করতে দেয় না। আবার বৃষ্টির শব্দও কমিয়ে আনে। আয়রন ক্রাউন রুফ টাইলের তাপ পরিবাহিত ০ দশমিক ১৭ তাই ঘরের তাপমাত্রা ১৫ শতাংশ কম থাকে। ফলে এসি ছাড়াই ঘর ঠাণ্ডা রাখবে এই টাইল। এই টাইলে আনুভূমিক বিচ্ছেদ ৩১০০ এন/এম, উলম্ব বিচ্ছেদ ৩০৫ এন/এম ভেঙে পড়ে না, ছিদ্র হয় না। এটি কোনো অবস্থাতেই পানিতে ভিজে না। কোনো দাগ হবে না, পচবে না, জং ধরবে না। এসিড, কেমিক্যাল এবং সূর্যের রশ্মি আয়রন ক্রাউন এমজিও রুফ টাইলের কোনো ক্ষতি হবে না।
এমজিও রুফ টাইলের আর একটি বড় গুণ রাজমিস্ত্রি ছাড়াই এটি আপনি সহজেই ঘরে লাগাতে পারবেন। এই টাইলের প্রতি এক মিটার পরপর একটা করে স্ক্রু লাগাতে হবে। স্ক্রুর সঙ্গে ওয়াসার ও ক্যাপ ব্যবহার করতে হবে (পানি প্রবেশ রোধকরণে) অবশ্যই রবিন স্ক্রু মেশিন দ্বারা স্ক্রু লাগাতে হবে। হাতুড়ি ব্যবহার করা যাবে না।
দামের কথা ভাবছেন? এটিও হাতের নাগালেই। প্রতি বর্গফুট এমজিও রুফ টাইলের দাম পড়বে ৮০ টাকা। একটা টাইলের দৈর্ঘ্য এক মিটার আর প্রস্থ ৬-২০ মিটার পর্যন্ত। ওজনে একদমই হালকা। একটি রুফ টাইলসে পাঁচ মিলিমিটার পুরু। এটি বাসাবাড়ি, ফ্যাক্টরি, অ্যাগ্রো ফার্ম, গোডাউন, হাসপাতাল এবং হোটেল-রিসোর্টে ব্যবহার করা যেতে পারে। পাঁচটি ভিন্ন ভিন্ন কালারের রুফ টাইল বাজারে পাওয়া যাবে। যেসব কালার পাওয়া যাবে সেগুলো হচ্ছে-সাদা, মেরুন, সবুজ, আকাশি নীল, ধূসর, সিলভার এবং কমলা রঙয়ের টাইল পাওয়া যাবে।
একই কোম্পানির এমজিও বোর্ডও পাওয়া যাচ্ছে বাজারে। সাদা এবং বিভিন্ন রঙয়ের নানা সাইজের বোর্ড পাওয়া যাবে সাশ্রয়ী মূল্যে। তিন মিলিমিটার থেকে ২০ মিলিমিটার পর্যন্ত মোট বোর্ড রয়েছে। তিন মিলিমিটার পুরু বোর্ড প্রতি বর্গফুটের দাম পড়বে ৬০ টাকা। আর ২০ মিলিমিটারের দাম পড়বে ২৫০ টাকা। অফিসের ইন্টেরিয়র, এক্সটেরিয়র এবং ফ্লোরে ব্যবহারের জন্য খুবই উপযোগী এমজিও বোর্ড।
এমজিও টাইল এবং বোর্ড সম্পর্কে ঢাকা-সিংহাং কোম্পানির কান্ট্রি ম্যানেজার এম এএইচ সিদ্দিকী বলেন, বাংলাদেশে এটিই প্রথম বুলেট প্রুফ এবং আগুন প্রতিরোধক টাইল ও বোর্ড। এই টাইল ও বোর্ড ব্যবহার করলে একদিকে বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী হবে অন্যদিকে এসির ব্যবহারও কমে আসবে।
তিনি বলেন, আমাদের টাইল দিয়ে নির্মিত ঘরে আলো রিফলেক্ট করে যে কারণে অন্য ঘরের তুলনায় ১৫ শতাংশ কম বাতি ব্যবহার করেই আলোকিত করা যাবে। আর ঘরে যদি আগুনও লাগে তাহলে সেই আগুন বাইরে ছড়িয়ে পড়বে না। এটা পরিবেশবান্ধব ও আর্থিক সাশ্রয়ী। আগামী ২০ দিনের মধ্যে বাজারে সর্বত্র পাওয়া যাবেই এই টাইল ও বোর্ড। এছাড়া আগামী ছয় মাসের মধ্যে দেশেই উৎপাদন শুরু করবে ঢাকা-সিংহাং কোম্পানি।
যোগাযোগের ঠিকানা
বিটিএমসি ভবন, লেভেল-৬, ৭-৯, কারওয়ান বাজার, ঢাকা-১২১৫
ফোন নম্বর: ০২৮১৮৯৬৯১
ফেসবুক #/ DHAKASHBM
বাংলাদেশ সময়: ১৮৫৪ ঘণ্টা, জুলাই ২৯, ২০১৮
এসএম/এএটি