মঙ্গলবার (৩১ জুলাই) ২০১৮-১৯ অর্থবছরের প্রথমার্ধের মুদ্রানীতি ঘোষণার অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
সুদের হার এক অঙ্কে নামানো প্রসঙ্গে ফজলে কবির বলেন, আমরা এটি করেছি ব্যাংকের ব্যাপক কর্মকাণ্ড অব্যাহত রাখতে।
‘ব্যাংকগুলো স্বাধীনভাবে সিদ্ধান্ত নিতে পারে। এটা কেন্দ্রীয় ব্যাংককে বলে দিতে হবে এমন কোনো কথা নেই। ব্যাংক সিদ্ধান্ত নিয়েছে, তারা যথারীতি সিঙ্গেল ডিজিটে চলে এসেছে। ’
গর্ভনর বলেন, ঋণ ও আমানতের সুদহার এক অঙ্কে ব্যাংক মালিকদের নামানোর প্রেক্ষাপটটি আপনাদের মনে আছে। আমরা যখন ঋণের সঠিক ব্যবহার ও গুণগতমানের দিকে জোর দিচ্ছিলাম। তারল্য সংকট ছিল না, কিছুটা মিস ম্যাচ ছিল। রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন ব্যাংকে তারল্য অনেক উদ্বৃত্ত ছিল, আবার যারা ঋণ দেওয়ার জন্য প্রস্তুত ছিল তাদের মধ্যে সেই পরিমাণ তারল্য ছিল না।
‘সেই অবস্থার মধ্যে আমরা সিআরআর (নগদ জমা সংরক্ষণ) এক শতাংশ কমিয়েছি তারল্যকে কমর্ফোটেবল করার জন্য। আমরা রেপো (পুনঃক্রয়চুক্তি) রেটটি ৬ দশমিক ৭৫ শতাংশ থেকে ৬শতাংশে নিয়ে এসেছি। যাতে ব্যাংকগুলো এই সুবিধা নিতে পারে। ’
তিনি বলেন, টাকা পাচার রোধে বাংলাদেশ ব্যাংক, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের নজরদারি আরো নিবিড় করা হবে। বাংলাদেশ ব্যাংক গভীর ও নিবিড়ভাবে নজরদারিতে রেখেছে। টাকার সরবরাহ বাড়লে আমাদের জন্য কোনো চ্যালেঞ্জ হবে বলে মনে হয় না।
বাংলাদেশ সময়: ১৮০০ ঘণ্টা, জুলাই ৩১, ২০১৮
এসই/এমএ