ঢাকা, মঙ্গলবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

সুদহার নির্ধারণ ব্যাংকগুলো করতে পারে: গর্ভনর

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২০৫ ঘণ্টা, জুলাই ৩১, ২০১৮
সুদহার নির্ধারণ ব্যাংকগুলো করতে পারে: গর্ভনর মুদ্রানীতি ঘোষণা অনুষ্ঠানে অতিথিরা। ছবি: বাংলানিউজ

ঢাকা: বাংলাদেশ ব্যাংকের গর্ভনর ফজলে কবির বলেছেন, বেসরকারি ব্যাংকের ঋণ ও আমানতের সুদহার নির্ধারণের বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমোদনের জন্য অপেক্ষা করার কোনো বিধান নাই। সুদহার নির্ধারণ ব্যাংকগুলো-ই করতে পারে।

মঙ্গলবার (৩১ জুলাই) ২০১৮-১৯ অর্থবছরের প্রথমার্ধের মুদ্রানীতি ঘোষণার অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
 
সুদের হার এক অঙ্কে নামানো প্রসঙ্গে ফজলে কবির বলেন, আমরা এটি করেছি ব্যাংকের ব্যাপক কর্মকাণ্ড অব্যাহত রাখতে।

জুন শেষে আমাদের প্রবৃদ্ধি ৭ দশমিক ৪ শতাংশ অতিক্রম করে ৭ দশমিক ৬৫ শতাংশে পৌঁছেছি। জিডিপির প্রবৃদ্ধির জন্য ব্যাংক থেকে আমাদের অনেক অর্থের যোগান দরকার। সেই যোগানের জন্য ব্যাংকগুলো সিঙ্গেল ডিজিট করেছে। অর্থনৈতিক ও জিডিটির প্রবৃদ্ধির জন্য তারা এটি করতে পারবে না-এমন কোনো কথা নেই।  

‘ব্যাংকগুলো স্বাধীনভাবে সিদ্ধান্ত নিতে পারে। এটা কেন্দ্রীয় ব্যাংককে বলে দিতে হবে এমন কোনো কথা নেই। ব্যাংক সিদ্ধান্ত নিয়েছে, তারা যথারীতি সিঙ্গেল ডিজিটে চলে এসেছে। ’
 
গর্ভনর বলেন, ঋণ ও আমানতের সুদহার এক অঙ্কে ব্যাংক মালিকদের নামানোর প্রেক্ষাপটটি আপনাদের মনে আছে। আমরা যখন ঋণের সঠিক ব্যবহার ও গুণগতমানের দিকে জোর দিচ্ছিলাম। তারল্য সংকট ছিল না, কিছুটা মিস ম্যাচ ছিল। রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন ব্যাংকে তারল্য অনেক উদ্বৃত্ত ছিল, আবার যারা ঋণ দেওয়ার জন্য প্রস্তুত ছিল তাদের মধ্যে সেই পরিমাণ তারল্য ছিল না।  

‘সেই অবস্থার মধ্যে আমরা সিআরআর (নগদ জমা সংরক্ষণ) এক শতাংশ কমিয়েছি তারল্যকে কমর্ফোটেবল করার জন্য। আমরা রেপো (পুনঃক্রয়চুক্তি) রেটটি ৬ দশমিক ৭৫ শতাংশ থেকে ৬শতাংশে নিয়ে এসেছি। যাতে ব্যাংকগুলো এই সুবিধা নিতে পারে। ’
 
তিনি বলেন, টাকা পাচার রোধে বাংলাদেশ ব্যাংক, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের নজরদারি আরো নিবিড় করা হবে। বাংলাদেশ ব্যাংক গভীর ও নিবিড়ভাবে নজরদারিতে রেখেছে। টাকার সরবরাহ বাড়লে আমাদের জন্য কোনো চ্যালেঞ্জ হবে বলে মনে হয় না।
 
বাংলাদেশ সময়: ১৮০০ ঘণ্টা, জুলাই ৩১, ২০১৮
এসই/এমএ 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।