মঙ্গলবার (৩১ জুলাই) ‘সাউথ সাউথ কো-অপারেশন অর ফাইনান্সিং এসডিজি এবং ইনগেজমেন্ট অব নন রেসিডেন্ট বাংলাদেশিস ইন ন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট’ শীর্ষক দু’টি বইয়ের মোড়ক উম্মোচন অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
অর্থমন্ত্রী বলেন, দেশের উন্নয়ন ধরে রাখতে হলে সহযোগি সংস্থাগুলোকে ঋণ সহায়তা অব্যাহত রাখতে হবে।
অনুষ্ঠানে প্রকাশিত প্রতিবেদনে প্রবাসী বাংলাদেশিদের (এনআরবি) অর্থ বিনিয়োগের মূল ধারায় নিয়ে আসতে একটি বিশেষায়িত অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে তোলার পরামর্শ দিয়েছে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ (ইআরডি)। অর্থনীতির কিছু খাত প্রবাসী বাংলাদেশিদের জন্য সংরক্ষিত রাখার তাগিদ দিয়েছে ইআরডি। জাতীয় উন্নয়নে প্রবাসীদের অন্তর্ভুক্তি শীর্ষক গবেষণা প্রতিবেদনে এসব বিষয় উঠে এসেছে। সরকারের ১০০ বিশেষায়িত অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠার লক্ষ্য পূরণে প্রবাসীরা ভূমিকা রাখতে পারেন বলে দাবি করা হয়েছে।
অনুষ্ঠানে ইউএনডিপির কান্ট্রি ডিরেক্টর সুদীপ্ত মূখার্জী বলেন, পর্যাপ্ত পরিবেশ না থাকার পাশাপাশি পর্যাপ্ত তথ্যের অভাবে প্রবাসীরা দেশে বিনিয়োগ করছে না। কীভাবে বিনিয়োগ করতে হবে তা অনেকেই জানেন না। কোন খাতে বিনিয়োগ করা হবে তাও জানেন না অনেকেই। অনেকেই বিনিয়োগে আসছেন না বিশ্বাসের অভাবের কারণে। এসডিজি অর্জনে সাউথ সাউথ সহায়তা বিষয়ে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২১, ২০৩০ ও ২০৪১ সাল সামনে রেখে বাংলাদেশের নেয়া বিভিন্ন লক্ষ্য পূরণে অর্থ ও প্রযুক্তির অভাব আছে।
তিনি আরও বলেন, বিভিন্ন দাতা দেশ ও সংস্থা বিদেশি সহায়তার পরিমাণ কমাচ্ছে। অন্যদিকে নতুন কিছু অঞ্চল প্রযুক্তি ও সম্পদে সমৃদ্ধ হচ্ছে। সাউথ সাউথ দেশগুলো এখন বিশ্বের মোট সম্পদের ৪০ শতাংশের মালিক। এ অবস্থায় সাউথ সাউথ সহায়তা বাংলাদেশের উন্নয়নে কার্যকর ভূমিকা রাখবে।
বাংলাদেশ সময়: ০১৩৬ ঘণ্টা, জুলাই ৩১, ২০১৮
এমআইএস/আরবি/