মঙ্গলবার (৩১ জুলাই) শেরে বাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে এডিবির সাথে এ ঋণ চুক্তি সই হয়। বাংলাদেশ সরকারের পক্ষে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) সচিব কাজী শফিকুল আযম এবং এডিবির কান্ট্রি ডিরেক্টর মনমোহন প্রকাশ নিজ নিজ পক্ষে চুক্তিতে সই করেন।
ইআরডির সচিব বলেন, চলতি অর্থবছরের প্রথম ঋণচুক্তি হলো এডিবির সঙ্গে। আগামী ২ আগস্ট রূপসা বিদ্যুৎ প্রকল্পের জন্য আরও একটি চুক্তি সই হবে। সার্বিকভাবে এডিবি বাংলাদেশের বিশ্বস্ত উন্নয়ন সহযোগী। আশা করছি এ সহায়তা অব্যাহত থাকবে। আমরা ধীর গতির প্রকল্পগুলো পর্যালোচনা করছি। সেখানে কোনো সমস্যা থাকলে তা সমাধানে পদক্ষেপ নিচ্ছি।
এডিবির কান্ট্রি ডিরেক্টর বলেন, রেলওয়ে এমন একটি পরিবহন যেখানে স্বল্প খরচে মানুষ যাতায়াত করতে পারেন। এ প্রকল্পের মাধ্যমে বাংলাদেশ রেলওয়ের জন্য ৪০টি ব্রড গেজ লেকোমোটিভ ক্রয় করা হবে। এছাড়া ১০০০টি বগি ওয়াগন এবং ১২৫টি লাগেজ ভ্যান কেনা হবে। এসব কেনা হলে রেলওয়ের সেবার মান বাড়ার পাশাপাশি নিরাপদ যাতায়াত নিশ্চিত করা সম্ভব হবে।
চুক্তি সই অনুষ্ঠানে জানানো হয়, মোট ঋণের মধ্যে ৩৫ কোটি ৪০ লাখ ডলার কিছুটা কঠিন শর্তে এবং ৬০ লাখ ডলার সহজ শর্তে ঋণ দেবে এডিবি। ৫ বছরে গ্রেস পিরিয়ডসহ ২৫ বছরে এ ঋণ পরিশোধ করতে হবে। ঋণের সুদের হার লাইবর (লন্ডন ইন্টার ব্যাংক অফার্ড রেট) এর সঙ্গে শূন্য দশমিক ৫ শতাংশ (স্প্রেড) ও ম্যাচুরিটি প্রিমিয়াম শূন্য দশমিক ১০ শতাংশ। তাছাড়া, ঋণ বিতরণ বাকি থাকলে তার ওপর শূন্য দশমিক ১৫ শতাংশ কমিটমেন্ট চার্জ দিতে হবে।
বর্তমানে রেল কোচের সংখ্যা বৃদ্ধি, যাত্রী চাহিদা পূরণের জন্য নতুন ট্রেন পরিচালনার উদ্দেশ্যে এক সঙ্গে ৪০টি ইঞ্জিন কিনবে সরকার। ইঞ্জিনগুলো একই সঙ্গে ডিজেল এবং ইলেকট্রিকের মাধ্যমে পরিচালনা করা যাবে। আধুনিক নিরাপদ ও গুণগতমান সম্পন্ন ইঞ্জিন ব্যবস্থাপনাও চালু করা হবে। প্রতিটা ইঞ্জিন কেনা হবে দক্ষিণ কোরিয়া থেকে।
৪০টি ব্রডগেজ ডিজেল ইলেকট্রিক লোকোমোটিভ (ইঞ্জিন) কিনতে মোট ব্যয় হবে ১ হাজার ৯৩১ কোটি টাকা। মোট ব্যয়ের মধ্যে ১ হাজার ৫১০ কোটি টাকা ঋণ দেবে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক।
বাংলাদেশ সময়: ১১০৮ ঘণ্টা, আগস্ট ০১, ২০১৮
এমআইএস/এমজেএফ