শুক্রবার (৩ আগস্ট) রাজধানীর কয়েকটি বাজার ঘুরে এ চিত্র দেখা যায়।
সরেজমিনে দেখা যায়, আদা ১০-২০ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ১২০ টাকায়, গত সপ্তাহে ৪৮ টাকা বিক্রি হওয়া পেঁয়াজের দাম বেড়ে হয়েছে ৬০ টাকা, রসুন বিক্রি হচ্ছে ৯০ টাকা থেকে ১১০ টাকায়, অথচ গত সপ্তাহে এটি বিক্রি হয়েছে ৭০ টাকা থেকে ৯০ টাকার মধ্যে।
দারুচিনি বিক্রি হচ্ছে ২৮০ টাকা কেজি দরে যা আগে বিক্রি হয়েছে ২১০ টাকায়। জিরা টার্কি ৪১০ ও ইন্ডিয়ান জিরা ৩১০ টাকায় বিক্রি করতে দেখা যায়। এর আগে টার্কি জিরা বিক্রি হয়েছে ৩৫০ টাকায়, ইন্ডিয়ান জিরা বিক্রি হয়েছে ২৮০ টাকায়।
শান্তিনগর, সেগুনবাগিচা ও ফকিরাপুল বাজারে কোনো সবজির দাম কমেনি, আগের বাড়তি দামেই বিক্রি করতে দেখা গেছে। বাজারগুলোতে প্রতিকেজি বেগুন বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৮০ টাকা, পটল ৫০ টাকা, বরবটি ৫০ টাকা, কাকরোল ৬০ টাকা, ঝিঙা ৬০ টাকা, ধুন্দল ৫০ টাকা, করলা ৫০ টাকা, কচুরমুখী ৬০ টাকা, ওল ৭০ থেকে ৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। শাকের দামও কেজিতে বেড়েছে ৫ টাকা পর্যন্ত। লাউশাক প্রতি আঁটি ৪০ টাকা, লালশাক ১৫ টাকা, সবুজশাক ১৫ টাকা বিক্রি হতে দেখা যায়।
ডিম ও চালের দামও বেড়েছে ৩ থেকে ৫ টাকা পর্যন্ত। ব্রয়লার মুরগির ডিম প্রতি ডজন ১০৮ টাকা, হাঁস ১৪০ টাকা, দেশি মুরগি ১৫০ টাকায় বিক্রি করতে দেখা যায়। মিনিকেট চাল খুচরা বাজারে ৬৫ টাকা কেজি, নাজিরশাইল ৫৫ থেকে ৬০ টাকা, স্বর্ণা ৫২ টাকা, আটাশ ৫৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
এছাড়া বাড়তি দামে বিক্রি হচ্ছে সব ধরনের মাছও।
সজিব নামে এক বিক্রেতা বলেন, এখন বর্ষার কারণে পাইকারি সবজির আমদানি কম। আমদানি কম হওয়ার কারণে দাম কিছুটা বেড়েছে।
আয়েশা খাতুন নামে এক ক্রেতা বলেন, নানা অজুহাতে বিক্রেতারা পণ্যের দাম বাড়িয়ে দেন।
বাংলাদেশ সময়: ১১১০ ঘণ্টা, আগস্ট ৩, ২০১৮
ইএআর/এএ