সংশ্লিষ্টরা বলছেন, আগামী তিনমাসের মধ্যে অ্যাপটি সবার জন্যে উন্মুক্ত করা হতে পারে। এ নিয়ে কাজ করে যাচ্ছেন সংশ্লিষ্ট বিভাগের আইটি বিশেষজ্ঞরা।
সূত্র বলছে, তথ্যপ্রযুক্তিতে বাংলাদেশ বেশ এগিয়েছে। প্রায় প্রতিটি খাতেই এর ছোঁয়া লেগেছে। ডিজিটাল বাংলাদেশে যুগোপযোগী সেবা দিতে একটি অ্যাপ তৈরি করছে বাংলাদেশ ব্যাংকের আইটি অপারেশন অ্যান্ড কমিউনিকেশন বিভাগ। ‘টাকাফাই’ (TAKAFY) শীর্ষক অ্যাপটি তৈরি করছেন ওই বিভাগের সহকারী প্রোগ্রামার ত্বাঊছুন আখতারী, বেলাল হোসেন ও লিখন বণিক।
ত্বাঊছুন আখতারী ও বেলাল হোসেন বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে পড়েছেন; আর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করেছেন লিখন বণিক।
বাংলানিউজকে তারা বলেন, বর্তমানে জালটাকা শনাক্তকরণের জন্য কোনো অ্যাপভিত্তিক সেবা নেই। এছাড়া অনলাইনে বিদ্যমান টাকা শনাক্তকরণের উপায়গুলোতেও সময় ও স্থান সাপেক্ষে অ্যাক্সেস করা সম্ভব হয় না। এ কারণে জাল টাকা শনাক্ত করার জন্য সর্ব সাধারণকে ম্যানুয়াল পদ্ধতির উপর নির্ভর করতে হয়।
‘তবে টাকার বৈশিষ্ট্য সর্ম্পকে পর্যাপ্ত ধারণা না থাকায় ম্যানুয়াল পদ্ধতিতে জাল টাকা শনাক্ত করা সাধারণ মানুষের জন্য বেশ কষ্টসাধ্য ব্যাপার হয়ে দাঁড়ায়। ফলে জাল টাকার বিস্তার বেড়েই চলেছে,’ বলেন এই তিন কর্মকর্তা।
তারা বলেন, গ্রাহকদের এ সমস্যা সমাধানে একটি মোবাইল অ্যাপ বেশ ভালো ফল দেবে। কেননা মোবাইল অ্যাপ সবার কাছে পৌঁছানোর সর্বোত্তম মাধ্যম হিসেবে বিবেচিত হয়।
প্রাথমিক পরিকল্পনা অনুযায়ী, টাকার সব বৈশিষ্ট্য অ্যাপের ডাটাবেজে সংরক্ষিত থাকবে। গ্রাহকের নোটের ছবি ও অন্যান্য ইনপুটের উপর ভিত্তি করে যথাযথ নির্দেশনা এবং ইমেজ প্রসেসিং অ্যালগরিদম প্রয়োগের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট নোটটি জাল কি-না সে ফলাফল দেখা যাবে।
অ্যাপ ব্যবহারের সুবিধা বিষয়ে ওই তিন কর্মকর্তা বলেন, অ্যাপটির মাধ্যমে অতি দ্রুত সময়ে যেকোনো জায়গা থেকে টাকা শনাক্ত করা সম্ভব হবে। অ্যাপটি জাল টাকার বিস্তার রোধে কার্যকর ভূমিকা রাখবে।
ভিডিও দেখতে ক্লিক করুন
বাংলাদেশ সময়: ০৮১২ ঘণ্টা, আগস্ট ০৬, ২০১৮
এসই/এমএ