ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

কেনা হচ্ছে ২ লাখ স্মার্ট প্রি-পেমেন্ট মিটার

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১১১ ঘণ্টা, আগস্ট ৭, ২০১৮
কেনা হচ্ছে ২ লাখ স্মার্ট প্রি-পেমেন্ট মিটার একনেক সভা

ঢাকা: ইলেকট্রিক সাপ্লাই কোম্পানি লিমিটেড (ডেসকো) এলাকার জন্য কেনা হচ্ছে দুই লাখ অনলাইন স্মার্ট প্রি-পেমেন্ট মিটার। ফলে গ্রাহকরা ঘরে বসেই মোবাইলের মাধ্যমে বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ করতে পারবেন।

মঙ্গলবার (০৭ আগস্ট) শেরে-বাংলানগরে একনেক সভায় মোট ১১টি প্রকল্পের চূড়ান্ত অনুমোদন দেয়া হয়। প্রকল্পগুলোর মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ৬ হাজার ৪৪৮ কোটি ১৪ লাখ টাকা।

সকল ব্যয়ই সরকারি তহবিল থেকে মেটানো হবে।

সভা শেষে পরিকল্পনা মন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেন, অনলাইন স্মার্ট প্রি-পেমেন্ট মিটার কেনা হলে বিদ্যুৎ বিল দিতে আর ঝামেলা থাকবে না। বিদ্যুৎ বিলের টাকা ফুরিয়ে গেলে মোবাইলেই সংকেত বেজে উঠবে। বিদ্যুতের লোডও কন্ট্রোল করা যাবে মোবাইলের মাধ্যমে। বর্তমানে পোস্টপেইড মিটারিং সিস্টেমে প্রচুর পরিমাণে বিদ্যুৎ বিল বকেয়া থাকে। এর ফলে গ্রাহক ও সংস্থা উভয়ই বিভিন্ন সমস্যার সম্মুখীন হয়। কিন্তু অনলাইন প্রি-পেমেন্ট মিটারিংয়ের মাধ্যমে এই সমস্যার সমাধান হবে সহজেই। ডিজিটাল পদ্ধতিতে গ্রাহক সেবার মান, লোড ব্যবস্থাপনা, রাজস্ব আদায় অধিকতর উন্নয়ন করা সম্ভব হবে বলে মনে করে সরকার।

দুই লাখ অনলাইন স্মার্ট প্রি-পেমেন্ট মিটার কানেক্টিভিটির জন্যই মূলত অনলাইন নেটওয়ার্ক ব্যবস্থা করা হবে।

ডেসকো’র আওতায় পর্যায়ক্রমে মোট ১০ লাখ ৫০ হাজার অনলাইন স্মার্ট প্রি-পেমেন্ট মিটার স্থাপন করা হবে। এরইমধ্যে ২ লাখ ৩০ হাজার মিটার সংগ্রহ করা হয়েছে। নতুন করে দুই লাখ মিটার সংগ্রহ করা হবে। এলাকাগুলো হলো- মিরপুর, পল্লবী, আগারগাঁও, কাফরুল, শাহআলী, ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট, গুলশান, বনানী, বারিধারা, বাড্ডা, উত্তরা, উত্তরখান ও দক্ষিণখান। এছাড়া গাজীপুরের টঙ্গী এলাকা প্রকল্পের আওতায় রয়েছে।
 
‘ডেসকো এলাকায় অনলাইন স্মার্ট প্রি-পেমেন্ট মিটার সরবরাহ ও স্থাপন’ প্রকল্পের আওতায় এ উদ্যোগ নেওয়া হবে। প্রকল্পের মোট ব্যয় নির্ধারণ করা হয়েছে ১৮৬ কোটি ৫০ লাখ টাকা। ২০১৮ সালের আগস্ট থেকে ২০২০ সালের ডিসেম্বর মেয়াদে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা হবে।  
 
একনেকে অনুমোদিত অন্যান্য প্রকল্পগুলো হলো, ঢাকা জেলার দোহার উপজেলাধীন মাঝিরচর থেকে নারিশাবাজার হয়ে মোকসেদপুর পর্যন্ত পদ্মা নদি ড্রেজিং ও বাম তীর সংরক্ষণ, বাংলাদেশে তাঁত বোর্ডের আওতায় ৫টি বেসিক সেন্টার ৫টি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র, একটি ফ্যাশন ডিজাইন ইনস্টিটিউট এবং ২টি মার্কেট প্রমোশন কেন্দ্র স্থাপন প্রকল্প।

এছাড়া ,  ড. এম. এ ওয়াজেদ মিয়া টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ স্থাপন, সরকারি শিশু পরিবার এবং ছোট মনি নিবাস নির্মাণ/ পুনঃনির্মাণ, হাই-টেক পার্ক, সিলেটের প্রাথমিক অবকাঠামো নির্মাণ প্রকল্পও অনুমোদন দেয়া হয়।  

ফরিদপুর জেলার চরভদ্রাসন উপজেলাধীন পদ্মা নদীর ডান তীর সংরক্ষণ ও ড্রেজিং, সোনাপুর হতে চেয়ারম্যানঘাট সড়ক উন্নয়ন, বীরগঞ্জ-খানসামা-দাড়োয়ানী, খানসামা-রাণীবন্দর এবং চিরিরবন্দর-আমতলী বাজার জেলা মহাসড়কে যথাযথ মান ও প্রশস্ততায় উন্নীতকরণ ও কুলাউড়া-পৃথিমপাশা-হাজীপুর-শরীফপুর সড়কের ১৪তম কিলোমিটারে পিসি গার্ডার নির্মাণ ও ৭ দশমিক ৫ কিলোমিটার সংযোগ সড়ক নির্মাণ প্রকল্পের অনুমোদন দেওয়া হয় একনেক সভায়।

বাংলাদেশ সময়: ১৭১০ ঘণ্টা, আগস্ট ০৭, ২০১৮
এমআইএস/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।