জুলাই মাসে খাদ্যপণ্যের মূল্যস্ফীতির হার অস্বাভাবিক হারে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬ দশমিক ১৮ শতাংশে, যা জুন মাসে মাসে ছিল ৫ দশমিক ৯৮ শতাংশ। একই মাসে খাদ্য বহির্ভূত পণ্যের মূল্যস্ফীতি কমে দাঁড়িয়েছে ৪ দশমিক ৪৯ শতাংশে, যা তা আগের মাসে ছিল ৪ দশমিক ৮৭ শতাংশ।
মঙ্গলবার (০৭ আগস্ট) পরিকল্পনা কমিশন বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) দেওয়া জুলাই মাসের ভোক্তা মূল্য সূচকের (সিপিআই) সর্বশেষ হালনাগাদ তথ্য প্রকাশ করা হয়।
বিবিএসের হালনাগাদ তথ্যে দেখা গেছে, মাছ, মাংস, ব্রয়লার মুরগি, শাক-সবজি, ফল, মসলা, দুধজাতীয় ও অন্যান্য খাদ্য সামগ্রীর মূল্যস্ফীতি জুন মাসের তুলনায় জুলাই মাসে বেড়েছে।
পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেন, সামনে খাদ্যপণ্যে মূল্যস্ফীতি হবে না। সবাই এক সঙ্গে হাটে গরু কিনবেন, কোরবানি দেয়ার জন্য। এ মাংস ৫ থেকে ১০ দিন ধরে খাবেন। ফলে বাজার-ঘাটে যাওয়া লাগবে না। কোরবানির গরু কেনার টাকা এর ফলে সমন্বয় হয়ে যাবে এবং খাদ্যে মূল্যস্ফীতি হবে না।
কোরবানির ঈদে মসলা পেঁয়াজসহ অন্যান্য জিনিসপত্রের দামও বাড়বে না বলে দাবি করেন মন্ত্রী। গ্রামে সার্বিক মূল্যস্ফীতি পয়েন্ট টু পয়েন্ট হারে কমে দাঁড়িয়েছে ৫ দশমিক শূন্য ৪ শতাংশে, যা তার আগের মাসে ছিল ৫ দশমিক শূন্য ৭ শতাংশ। খাদ্য পণ্যের মূল্যস্ফীতি বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫ দশমিক ৩৪ শতাংশে, যা তার আগের মাসে ছিল ৫ দশমিক ২৫ শতাংশ। তবে খাদ্য বহির্ভূত পণ্যের মূল্যস্ফীতি কমে দাঁড়িয়েছে ৪ দশমিক ৪৯ শতাংশে, যা তার আগের মাসে ছিল ৪ দশমিক ৭৬ শতাংশ।
শহরে সার্বিক মূল্যস্ফীতি পয়েন্ট টু পয়েন্ট হারে কমে দাঁড়িয়েছে ৬ দশমিক ৩৭ শতাংশে, যা তার আগের মাসে ছিল ৬ দশমিক ৩৯ শতাংশ। খাদ্য পণ্যের মূল্যস্ফীতি বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৮ দশমিক শূন্য ৮ শতাংশে, যা তার আগের মাসে ছিল ৭ দশমিক ৬৩ শতাংশ। খাদ্য বহির্ভূত পণ্যের মূল্যস্ফীতি কমে দাঁড়িয়েছে ৪ দশমিক ৫০ শতাংশে, যা তার আগের মাসে ছিল ৫ দশমিক শূন্য ৩ শতাংশ।
বিবিএসের মূল্যস্ফীতির হার পর্যালোচনা করলে দেখা গেছে, প্রসাধন সামগ্রী, জুতা, পরিধেয় বস্ত্র, বাড়িভাড়া, আসবাবপত্র, গৃহস্থালি পণ্য, আসবাবপত্র, চিকিৎসাসেবা, পরিবহন, শিক্ষা উপকরণ এবং বিবিধ সেবা খাতের মূল্যস্ফীতির হার নিম্নমুখী হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৯০২ ঘণ্টা, আগস্ট ০৭, ২০১৮
এমআইএস/এসএইচ