সম্প্রতি এই সেতুতে সিমেন্ট সরবরাহে সেতু নির্মাতা প্রতিষ্ঠান চায়না রেলওয়ে সেভেনটিন্থ বুর্যো গ্রুপ কোম্পানি লিমিটেডের সঙ্গে কিং ব্র্যান্ড সিমেন্টের একটি চুক্তি সই হয়েছে। চুক্তি সই অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান আহমেদ আকবর সোবহান।
রাজধানীর হোটেল লা মেরিডিয়ানে বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান আহমেদ আকবর সোবহান ও চায়না রেলওয়ে সেভেনটিন্থ বুর্যো গ্রুপ কোম্পানি লিমিটেডের টিম লিডার জো ইওগু নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের পক্ষে চুক্তিতে সই করেন।
পিরোজপুরের চরখালী ফেরিঘাটে কচা নদীর উপর নির্মিত হচ্ছে অষ্টম বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সেতু। এই সেতু তৈরিতে ব্যবহার হবে কিং ব্র্যান্ড সিমেন্ট।
এ বিষয়ে বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান বলেন, কিং ব্র্যান্ড সিমেন্ট বাংলাদেশের বেসরকারি খাতের প্রথম সিমেন্ট কারখানা। রূপসা সেতু থেকে শুরু করে আরো অনেক উন্নয়নে কিং ব্র্যান্ড সিমেন্ট ব্যবহার হয়েছে। আশাকরি দেশের সব উন্নয়নেই আমাদের সিমেন্ট ব্যবহার হবে। ঢাকা ও মোংলায় আমাদের সিমেন্ট মিল রয়েছে। চট্টগ্রামেও আমরা আরেকটি বড় ফ্যাক্টরি করতে যাচ্ছি।
চুক্তির বিষয়ে চায়না রেলওয়ে সেভেনটিন্থ বুর্যো গ্রুপ কোম্পানি লিমিটেডের টিম লিডার জো ইওগু বলেন, কিং ব্র্যান্ড সিমেন্টের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হতে পেরে আমরা খুবই আনন্দিত। আমরা উন্নত প্রযুক্তি ও কাঁচামাল দিয়ে অষ্টম বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী নির্মাণ করতে চাই। সেক্ষেত্রে কিংব্র্যান্ড সিমেন্টের মতো গুণগত মানসম্পন্ন পণ্য সেতুকে আরও মজবুত করবে বলে আমরা বিশ্বাস করি।
চুক্তি সই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন কালের কণ্ঠ সম্পাদক ইমদাদুল হক মিলন, ইস্ট-ওয়েস্ট মিডিয়া গ্রুপের প্রকাশক ময়নাল হোসেন চৌধুরী, বসুন্ধরা গ্রুপের সিনিয়র ডিএমডি বেলায়েত হোসেন, ডিএমডি প্রকৌশলী একেএম মাহবুব-উজ-জামান, মেজর জেনারেল মাহাবুব হায়দার, চায়না রেলওয়ে সেভেনটিন্থ বুর্যো গ্রুপ কোম্পানি লিমিটেডের চিফ অ্যকাউন্ট্যান্ট সিং জিহং, বসুন্ধরা গ্রুপের প্রেস অ্যান্ড মিডিয়া অ্যাডভাইজার আবু তৈয়ব, সিএফও মো. তোফায়েল হোসেন, সিএমও খন্দকার কিংশুক হোসেন প্রমুখ।
দেশের বেসরকারিখাতে সর্বপ্রথম কিং ব্র্যান্ড সিমেন্ট বাজারজাত করা হয়। গত ২৫ বছর ধরে দেশের গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায় ব্যবহার হচ্ছে এ সিমেন্ট। অষ্টম বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সেতু তৈরিতে এই সিমেন্ট ব্যবহার করার সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে গুণগত মান যাচাই করা হয়। চায়না সেন্ট্রাল ল্যাব থেকে সর্বোচ্চ গুণগত মান অর্জন করলে কিং ব্র্যান্ড সিমেন্টকে এই প্রকল্পে অংশীদার করে নির্মাতা প্রতিষ্ঠান। এই সেতুর দৈর্ঘ্য ১ দশমিক ৪৯ কিলোমিটার। এ প্রকল্পে প্রায় ৫০ হাজার মেট্রিক টন সিমেন্ট ব্যবহৃত হবে। সপ্তম বাংলাদেশ চীন-মৈত্রী সেতুতেও কিংব্র্যান্ড সিমেন্ট ব্যবহার করা হয়েছিল।
বাংলাদেশ সময়: ১৮২৫ ঘণ্টা, আগস্ট ০৮, ২০১৮
এএ