তবে সাংবাদিক পরিচয় দিলে ৪৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে বলে দাবি করা হয়। অন্যদিকে ক্রেতারা দাবি করছেন ৫০০ টাকাতেই বিক্রি হচ্ছে গরুর মাংস।
শুক্রবার (১০ আগস্ট) মিরপুর-১ কাঁচাবাজারে এমন চিত্র দেখা যায়।
নিজেদের বেঁধে দেওয়া দামে মাংস বিক্রি প্রসঙ্গে বিক্রেতা বেলাল হোসেন বলেন, সিটি কর্পোরেশন ওয়ালারা আমাদের গরু দেয় না। শুধু দাম বেঁধে দেয়। তাদের দামে আমরা বাজারে গরু পাই না। মাংস কিভাবে ৪৮০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করবো। সামনে কোরবানির ঈদ, এখন গরুর দামও বাড়তি, এটাও সিটি কর্পোরেশনের দেখা দরকার।
শুধু বেলাল নয় মিরপুর-১ কাঁচাবাজারের সবাই নিজের তৈরি চার্টে মাংস বিক্রি করছেন।
অন্যদিকে কয়েক দিনের বৃষ্টি ও ছাত্র আন্দোলনের প্রভাব সবজিতে পড়েছে বলে দাবি বিক্রেতাদের। ফলে প্রতি কেজিতে সবজিতে প্রকারভেদে ৫ থেকে ১০ টাকা বাড়তি।
প্রতি কেজি শসা ৬০, পটল ৫০, গোল বেগুন ৮০, লম্বা বেগুন ৫০, মিষ্টি কুমড়া ৩০, শিম ১৮০, কচুর মুখী ৬০, বরবটি ৫০, করলা ৬০, উস্তে ৮০ ও ঢেঁড়স ৬০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
মিরপুরের সবজি বিক্রেতা শাহ কালাম বলেন, বৃষ্টিতে সবজির আমদানি কম। সামনে বৃষ্টি না হলে দাম স্বাভাবিক হবে।
মিরপুর বিএনপি কাঁচাবাজারে বাড়তি দামে বিক্রি হচ্ছে মাছ। পানি বেড়ে যাওয়ায় মাছ কম ধরা পড়ছে ফলে দাম বাড়তি বলে দাবি বিক্রেতাদের। প্রকারভেদে ২০ থেকে ৩০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে মাছের দাম।
প্রতি কেজি মাঝারি রুই ২৮০, পাঙ্গাশ ১৩০, সিলভার ১৬০, সরপুঁটি ১৮০, গ্রাস কার্প ২৪০, বড় রুই ৩৫০, শিং ৭৫০, বাইন ৭৫০, কোরাল ৭০০ ও তেলাপিয়া ১৬০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
পাইকারি বাজারে ডিমের দামও বাড়তি। প্রতি হালি হাঁসের ডিম ৪০, মুরগির লাল ডিম ৩২ ও সাদা ডিম ৩১ টাকা। প্রায় এক মাস ধরে ডিমের দাম বাড়তি।
কাঁচাবাজারের প্রায় সবকিছুতেই দাম বাড়লেও কমেছে মুরগির দাম। প্রতি কেজি দেশি মুরগিতে ২০ টাকা কমে ৪০০ টাকা, পাকিস্তানি কক ১০ টাকা কমে ২২০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
বাংলাদেশে সময়: ১১৩৩ ঘণ্টা, আগস্ট ১০, ২০১৮
এমআইএস/এনএইচটি