কোরবানি উপলক্ষে খুলনাঞ্চলের বিভিন্ন জায়গা থেকেই এ হাটে পশু নিয়ে আসেন খামারি-বেপারীরা। পশুর হাট কর্তৃপক্ষ হাট প্রস্তুতির কাজ এরইমধ্যে শেষ করেছে।
সরেজমিন দেখা গেছে, শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি নিয়ে ব্যস্ত সবাই। হাটের সামনের সড়কে তোরণ তৈরি করা হয়েছে। পরিষ্কার করা হয়েছে হাটের ভেতরের রাস্তা। তৈরি হয়েছে ইজারা কাউন্টার, কন্ট্রোল রুম। প্রস্তুত করা হয়েছে গরু, ছাগল রাখার জায়গা। কোরবানি উপলক্ষে নানা রঙে সাজানো হয়েছে হাট। পশু বেঁধে রাখার জন্য বাঁশের খুঁটি পোতার কাজও শেষ। বৃষ্টিতে কোরবানির পশু ও ক্রেতা-বিক্রেতাদের সমস্যা যেন না হয় সেজন্য সামিয়ানা টানানো হয়েছে। এছাড়া বিদ্যুৎ, পানি ও নিরাপত্তাসহ সব ধরনের সুবিধা নিশ্চিত করা হয়েছে।
বুধবার (১৫ আগস্ট) বিকেলে খুলনা সিটি করপোরেশনের (কেসিসি) ২১ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও জোড়াগেট পশুর হাট পরিচালনা কমিটির আহ্বায়ক শামসুজ্জামান মিয়া স্বপন বাংলানিউজকে বলেন, কেসিসি নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় এবারও মহানগরীর একমাত্র কোরবানির পশুর হাট পরিচালনা করা হবে। ১৬ আগস্ট থেকে ঈদের দিন সকাল ৬টা পর্যন্ত জোড়াগেট কোরবানির পশুর হাট বসবে। হাটের সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে।
তিনি জানান, বৃহস্পতিবার বিকেল ৪টায় খুলনা-৩ আসনের সংসদ সদস্য ও কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ নেত্রী বেগম মন্নুজান সুফিয়ান প্রধান অতিথি থেকে হাটের উদ্বোধন করবেন। জাল টাকারোধে হাটে নোট পরীক্ষণ যন্ত্র থাকবে। এছাড়া সব ধরনের নিরাপত্তার জন্য আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যসহ সিটি করপোরেশনের পর্যাপ্ত নিরাপত্তাকর্মী দায়িত্ব পালন করবেন হাটে।
সিটি করপোরেশনের এ হাট ছাড়াও জেলার ৯ উপজেলায় আরও ২৬টি স্থায়ী ও অস্থায়ী হাট রয়েছে। এর মধ্যে রূপসায় ৩টি, ফুলতলায় ১টি, পাইকগাছায় ৪টি, ডুমুরিয়ায় ৪টি, তেরখাদায় ১টি, দিঘলিয়ায় ৪টি, দাকোপে ২টি, কয়রায় ৬টি ও বটিয়াঘাটায় ১টি পশুর হাট।
জেলার উল্লেখযোগ্য হাটগুলোর মধ্যে রয়েছে- রূপসা উপজেলার তালিমপুর ও পূর্ব রূপসা বাসস্ট্যান্ড, ফুলতলা উপজেলা সদর, ডুমুরিয়া উপজেলার খর্নিয়া, শাহাপুর, আঠারো মাইল, চুকনগর, পাইকগাছা উপজেলার চাঁদখালী, গদাইপুর, কাছিকাটা, পাইকগাছা জিরোপয়েন্ট, দাকোপ উপজেলার বাজুয়া, চালনা, কয়রা উপজেলার দেউলিয়া, গোবিন্দপুর, কালনা, ঘুগরাকাঠি, মান্দারবাড়িয়া, হোগলা, দিঘলিয়া উপজেলার এম এম মজিদ কলেজ মাঠ, জালাল উদ্দিন কলেজ মাঠ, পথেরবাজার মাধ্যমিক বিদ্যালয়, তেরখাদা উপজেলার ইখড়ি কাটেঙ্গা, বটিয়াঘাটা উপজেলার বাইনতলা। এরইমধ্যে এসব হাটের অনেকগুলোতে পশু বেচাকেনা শুরু হয়েছে।
এসব হাটের ক্রেতা ও ব্যাপারীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সব ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। সাদা পোশাকে পুলিশের পাহারা রয়েছে। রয়েছে জাল টাকা শনাক্তকরণ মেশিন। পশুবাহী ট্রাকের চাঁদাবাজি ও পশুর হাটকে কেন্দ্র করে যে কোনো ধরনের অপতৎপরতা কঠোর হাতে পুলিশ দমন করবে বলে জানান খুলনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (জেলা বিশেষ শাখা) মো. আনিচুর রহমান।
বাংলাদেশ সময়: ২০০৫ ঘণ্টা, আগস্ট ১৫, ২০১৮
এমআরএম/জেডএস