এরইমধ্যে গাবতলী হাটের ইজারাদার লুৎফর রহমান সার্বিক প্রস্তুতিও সম্পন্ন করেছেন। এবার গাবতলী হাটে মোট ৯টি হাসিল ঘর বানানো হয়েছে।
রাজধানীর কোরাবানি পশুর অধিকাংশই পাওয়া যাবে এই হাটে। গাবতলী হাটের আয়তন অনুযায়ী ৬০ থেকে ৭০ হাজার পশু ওঠানো সম্ভব। যদিও ঈদের সময় পশুর চাহিদা ও আমদানি বেড়ে যাওয়ায় এক থেকে দেড় লাখ পশু হাটে ওঠানো হয়।
এবার হাটে বেশি দেখা যাচ্ছে দেশি জাতের গরু। ছোট আকৃতির এ গরুগুলোর ক্রেতা চাহিদাও রয়েছে। ঈদের হাটের আগে থেকেই আলোচনায় এবার দেশি গরুতেই বাজার সয়ালাব হয়ে যাবে।
গাবতলী হাটের স্থায়ী গরু ব্যবসায়ী মজনু মিয়া বাংলানিউজকে বলেন, এবার গেরস্তরা প্রচুর গরু পেলেছে। দেশে যে গরু আছে তাতে দুই কোরবানির গরু হবে। গ্রামে প্রায় অধিকাংশ বাড়িতেই গরু আছে। তাই সরকারের কাছে অনুরোধ যেন ভারতের গরু না ঢোকে। আমাদের লোক গ্রাম থেকে গরু কেনা শুরু করেছে। দু’এক ট্রাক করে আসছে। গরু আসবে শুক্রবার থেকে, তবে রোববারে পুরোদমে হাট শুরু হবে।
গাবতলী হাট পরিচালনা কমিটির সদস্য সানোয়ার হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, সরকারি ঘোষণা অনুযায়ী ঈদের তিন দিন আগ থেকে আমাদের ঈদের হাট শুরু হবে। যেহেতু এটা স্থায়ী হাট তাই সবদিনই পশু কেনা-বেচা হয়, হবে। হাটে পশু ক্রেতা-বিক্রেতাদের নিরাপত্তার সুবিধার্থে সব ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। পুরো হাট সিসি ক্যামেরার আওতায় থাকবে। তাই কেউ অপরাধ করে পার পাবে না।
তিনি বলেন, শুক্রবার কিছু গরু কেনাবেচা হবে। কাল গরু আসবেও বেশি। তবে রোববার থেকে শুরু হবে গরুর হাট। ওইদিন থেকে পুরোদমে কেনাবেচা চলবে।
গাবতলী হাটের নিরাপত্তার জন্য র্যাব, পুলিশ, ডিবি পুলিশ ছাড়াও হাট কর্তৃপক্ষের এক হাজার স্বেচ্ছাসেবক কাজ করবেন।
গাবতলী হাটের নিরাপত্তায় ১১টি ওয়াচ টাওয়ার থাকবে। এই ওয়াচ টাওয়ার থেকে পুরো হাটের সার্বিক নিরাপত্তা দেখভাল করা হবে। এছাড়া প্রতিটি রাস্তায় স্বেচ্ছাসেবকরা থাকবেন পশু হাটে আনা থেকে শুরু করে বিক্রি পর্যন্ত তদারকি করতে।
তাছাড়া ক্রেতা-বিক্রেতাদের সুবিধার্থে জাল টাকা শনাক্ত করতে বেশ কয়েকটি বুথ রাখা হচ্ছে। বিক্রেতাদের কেউ সন্দেহ পোষণ করলে সেই বুথ থেকে টাকা পরীক্ষা করে নিতে পারবেন। এবার হাসিল মূল্য সরকার নির্ধারিত সাড়ে তিন টাকার সঙ্গে ঈদ উপলক্ষে দেড় টাকা বেশি করে দিতে হবে। অর্থাৎ, প্রতি ১০০ টাকার জন্য হাসিল মূল্য ৫ টাকা। আর প্রতি হাজারে ৫০ টাকা।
বাংলাদেশ সময়: ২০৩৬ ঘণ্টা, আগস্ট ১৬, ২০১৮
এসএম/এএ