শুক্রবার (১৭ আগস্ট) শহরের দিগুবাবু বাজার এলাকা ঘুরে এ চিত্র দেখা গেছে। একই অবস্থা জেলার প্রায় সব বাজারেই।
সরেজমিনে দেখা যায়, আদা ১০-২০ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ১২০ টাকায়, গত সপ্তাহে ৪৮ টাকা বিক্রি হওয়া পেঁয়াজের দাম বেড়ে হয়েছে ৬০ টাকা, রসুন বিক্রি হচ্ছে ৯০ টাকা থেকে ১১০ টাকায়, অথচ গত সপ্তাহে এটি বিক্রি হয়েছে ৭০ টাকা থেকে ৯০ টাকার মধ্যে। প্রতিকেজি এলাচ বিক্রি করতে দেখা যায় ১৮৫০ টাকা থেকে ১৯০০ টাকায়। দুই সপ্তাহ আগে খুচরা বাজারে প্রতিকেজি এলাচ ১৫৮০ টাকায় বিক্রি হয়েছে।
দারুচিনি বিক্রি হচ্ছে ২৮০ টাকা কেজি দরে যা আগে বিক্রি হয়েছে ২১০ টাকায়। জিরা টার্কি ৪১০ ও ইন্ডিয়ান জিরা ৩১০ টাকায় বিক্রি করতে দেখা যায়। এর আগে টার্কি জিরা বিক্রি হয়েছে ৩৫০ টাকায়, ইন্ডিয়ান জিরা বিক্রি হয়েছে ২৮০ টাকায়।
আমজাদ হোসেন নামে এক ক্রেতা জানান, কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে হঠাৎ প্রতিটি মসলার দাম বেড়ে গেছে। ব্যবসায়ী সিন্ডিকেটের কারণেই এভাবে দাম বাড়ছে। নিয়মিত বাজার তদারকি করা হলে বিক্রেতারা তাদের ইচ্ছামতো এভাবে দাম বাড়াতে পারতেন না।
বিক্রেতা রবিউল জানান, পাইকারি বাজারে মসলার দাম বেড়েছে। আমরাই বেশি দামেই কিনে এনেছি। এখানে আমাদের কিছু করার নেই। আমরা বেশি দামে এনে বেশি দামে বিক্রি করছি।
অপর বিক্রেতা কাজী সামিউল জানান, রোজার ঈদের পর পণ্য তেমন আসছে না। আমদানি থাকলে দাম সহনীয় থাকে। তবে পাইকারি বাজার থেকে নিয়মিত আমদানি এলে দাম কমে যাবে বলে জানান তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৩৬ ঘণ্টা, আগস্ট ১৭, ২০১৮
আরএ