কুষ্টিয়ার দৌলতপুরের ইউনূস আলী তার কয়েক ভাই ও প্রতিবেশীসহ ২০টি গরু গাবতলী হাটে তুলেছেন। এর মধ্যে ৯টি গরু পাইকারি ক্রেতার কাছে বিক্রি করেছেন।
ইউনূস আলী বলেন, “ভাই আল্লাহ দিলে ভালো দাম পাইচি। গরু পাইকাররা লিয়ে গেচে। তারা ভালো দাম দিচে। পিট পিট কয়েকবার বসান খাইছিলাম। এবার দুইডি ট্যাকা হইচে ভাই। য্যাম্মা দাম চাইচি তাই পাইচি। ”
ঢাকা শহরে গরু রাখার স্থানের সংকট। ফলে এখনও খুচরায় বেচাকেনা জমে ওঠেনি। তবে যাদের বাসায় গরু রাখার মতো পর্যাপ্ত স্থান আছে তারা গরু কেনা শুরু করেছেন। তবে গাবতলী পশুর হাটে কেনার চেয়ে গরু দেখতে আসা মানুষের সংখ্যাই বেশি।
ফজরের নামাজ পড়ে সাভার আশুলিয়া থেকে কোরবানির গরু দেখতে এসেছেন হাজী রইচ উদ্দিন। বাংলানিউজকে তিনি বলেন, “আল্লাহ দিলে গরু কোরবানি দেব। পছন্দমতো গরু দেখতে এসেছি। গত বছরের থেকে এবার গরুর দাম বেশি। গত বছর যে গরু ১ লাখে কিনেছি সেই গরুর দাম বলে ১ লাখ ৩০ হাজার টাকা। ”
গরু ব্যাপারীরা আশা করছেন ঈদের ছুটি শুরুর পর থেকে গরুর বেচাকেনা বাড়বে। ক্রেতারা কোরবানি দেওয়ার উদ্দেশ্যে তখন থেকে গরু কিনবেন। তবে বেশি গরু বিক্রি হবে ঈদের আগের দিন রাতে।
ঝিনাইদহের গরু বিক্রেত দবির উদ্দিন বলেন, “১৫টা গরু লি আইচি। একন ক্যাবা হবে বলা যাবে না। শেষ পরিচয় হবে ঈদির আগের আইতে, ওইদিন কেউ হাসপে কেউ কাঁদবে। ”
বাংলাদেশ সময়: ০৯০১ ঘণ্টা, আগস্ট ১৮, ২০১৮
এমআইএস/এমজেএফ