শনিবার (১৮ আগস্ট) সকাল থেকে দুপুর অবধি ঘুরে দেখা গেছে, অন্যান্য দিনের মতোই নিউমার্কেটে ক্রেতাদের সমাগম ছিল কম। তবে যেসব ক্রেতারা এসেছেন, তাদের অধিকাংশই অল্পকিছু হলেও কেনাকাটা করে ঘরে ফিরেছেন।
নিউমার্কেটের ১ নম্বর গেট, ২ নম্বর গেট, চাঁদনী চক মার্কেট এদিন অনেকটাই ফাঁকা ছিল। তবে দুপুরের দিকে সামান্য কিছু ভিড় লক্ষ্য করা গেছে ছেলেদের পাঞ্জাবি ও অন্যান্য পোশাকের দোকানগুলোতে। এছাড়া মেয়েদের সাজ-পোশাক আর প্রসাধনীর দোকানের বিক্রেতারা বসে বসে শুধু ক্রেতাই হেঁকেছেন। এ প্রসঙ্গে নিউমার্কেটের স্টার পাঞ্জাবির বিক্রেতা আমিনুল ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, রোজার ঈদের তুলনায় কোরবানির ঈদে এমনিতেই বেচাকেনা কম হয়। ক্রেতাদের যা কেনার, তারা তা রোজার ঈদেই কিনে নেন। তবে এবার কোরবানির ঈদে অন্যবারের তুলনায় বিক্রি একটু কম হয়।
একই মতামত অর্পা কসমেটিকসের সাদিয়া জাহান অর্পার। তিনি বাংলানিউজকে বলেন, বিশেষ দিনগুলোতে মেয়েদের প্রসাধনীর ব্যাপারটা থাকেই। তবে এবার সেটা কম। সাম্প্রতিক শিক্ষার্থীদের আন্দোলন আর ঈদ উপলক্ষ্যে অনেকেই আগেই গ্রামে ফিরে গেছেন। আর নিউমার্কেটের প্রধান ক্রেতারা তো বলতে গেলে শিক্ষার্থীরাই। তাই এবার ‘ঈদের বিক্রি’ নেই বললেই চলে।
কথা হয় পাঞ্জাবি ক্রেতা রাকিব হাসানের সঙ্গে। ঢাকা কলেজের এই শিক্ষার্থী বন্ধুদের সঙ্গে এসেছেন নিজের জন্য পাঞ্জাবি কিনতে। টিউশনির টাকা জমিয়ে নিজেরসহ কিনবেন বাবা আর ভাইয়ের জন্য। পছন্দ করে কিনলেনও গেরুয়া রঙের সুন্দর একটি পাঞ্জাবি।
কথা হলে রাকিব বলেন, গত ঈদে শপিংটা ভালো মতো করা হয়নি। আর নতুন পাঞ্জাবি পরে ঈদের নামাজ আদায় করে কোরবানি ঈদের মজাটাই অন্যরকম। নিজের জন্য কেনা হয়ে গেছে, এবার বাবার জন্য আর ছোট ভাইয়ের জন্য কিনবো কিছু।
মার্কেট ঘুরে দেখা গেছে, যারা শনিবার ঈদের আগে একটু কেনাকাটা করতে এসেছেন তাদের বেশিরভাগই শিক্ষার্থী। তবে সাধারণ জনগণের ঈদ কেনাকাটায় নিউমার্কেটের ঈদ বাজার কিছুটা হলেও জমবে বলেই এখনো আশা করছেন বিক্রেতারা।
বাংলাদেশ সময়: ১৫১৫ ঘণ্টা, আগস্ট ১৮, ২০১৮
এইচএমএস/এএটি