কিন্তু গত জুলাই মাসে একটি সংবাদ মাধ্যম দাবি করে বসে, ‘বাংলাদেশ হচ্ছে ভারতের চতুর্থ বৃহত্তম রেমিটেন্স উৎস!’ শুধু তাই না, সেখানে বিভিন্ন লিংক ও ছবি দেখিয়ে ২০১৭ সালে বাংলাদেশ থেকে ১০ বিলিয়ন ডলার রেমিটেন্স গেছে ভারত, এমন বানোয়াট তথ্য পরিবেশন করা হয়।
এই সংবাদটি যাচাই-বাছাই না করেই বিশ্বাস করেছেন অনেক ব্যক্তি।
অপপ্রচারমূলক ওই প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, ২০১৬ সালে বাংলাদেশ থেকে ভারতে রেমিটেন্স যায় ৮৩২ কোটি ডলার। ২০১৪ সালে এর পরিমাণ ছিল ৪৫০ কোটি ডলার। অথচ ভারতের রিজার্ভ ব্যাংক, বিশ্বব্যাংক বা আইএমও কোথাও এমন কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।
এদিকে মিটেন্স ও মাইগ্রেট ইস্যুতে নির্ভরযোগ্য তথ্য দানকারী প্রতিষ্ঠান 'পিউ রিসার্চ সেন্টারের' ওয়েবসাইটে দেখা যায়, ভারত থেকে যেসব দেশে প্রবাসী রেমিটেন্স (আউটগোয়িং) গেছে সেই তালিকায় বাংলাদেশ শীর্ষে। ২০১৬ সালে প্রায় ৪ বিলিয়ন ডলার রেমিটেন্স এসেছে ভারত থেকে। আর অন্য দেশ থেকে ভারতের অর্জিত রেমিটেন্সের তালিকায় বাংলাদেশের অবস্থান দেখা যায় ২৫ নম্বরে।
যেখানে কথিত ভুয়া রিপোর্টে বলা হয়েছিল বাংলাদেশ থেকে ভারত অর্জন করে ১ হাজার কোটি ডলার, সেখানে পিউ রিসার্চ সেন্টারের ওয়েবসাইটে বলা হচ্ছে অংকটা ১১ কোটি ৪০ লাখ ডলার।
ভারতের শীর্ষস্থানীয় পত্রিকা টাইমস অব ইন্ডিয়ার প্রতিবেদন অনুযায়ীও ভারতে রেমিটেন্সের সোর্স হিসেবে বাংলাদেশ ২৫তম (১১ কোটি ৪০ লাখ ডলার) যা পিউ রিসার্চ সেন্টার এর তথ্যের সঙ্গে মিলে যায়। টাইমস অব ইন্ডিয়ার রিপোর্টে এটাও উল্লেখ করা হয় যে, ভারত থেকে রেমিটেন্স আনায় বাংলাদেশের অবস্থান ১ম, (৪ বিলিয়ন ডলার)। অর্থাৎ, বাংলাদেশ থেকে ভারতে যে পরিমাণ রেমিটেন্স যায় তার থেকে ৩৫ গুণ বেশি ভারত থেকে আয় করে বাংলাদেশ।
সুতরাং, ভারতের রেমিটেন্স আয় নিয়ে বাংলাদেশ সম্পর্কে একটি অনলাইন মাধ্যম যেসব তথ্য দিয়েছে তা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন এবং উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।
বাংলাদেশ সময়: ১৪১৬ ঘণ্টা, আগস্ট ২১, ২০১৮
এনএইচটি