রাজধানীর একমাত্র স্থায়ী পশুর হাটে বিক্রি শুরু হয় গত শনিবার (১৮ আগস্ট)। প্রথম তিনদিন ভালো দামেই গরু বিক্রি হয়েছে।
এ বছর গরু ব্যবসায়ীদের বিরাট লোকসান গুণতে হচ্ছে। যারা রবি, সোমবার বিক্রি করেছেন, তাদের মুখে হাসি থাকলেও মঙ্গলবার রাতে ব্যবসায়ীদের মাথায় হাত।
ঝিনাইদাহের গরুর ব্যাপারী মজনু বাংলানিউজকে বলেন, এইবার চালান উঠবে না। গরু প্রতি ৫০ হাজার ধরা। যে টাকার গরু কিনেছি তার অর্ধেকও ওঠাতে পারবো না। কেউ দামই করছেন না। এখন ফেরতও নিতে পারছি না। রাত ৩টা পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। তার আগে বের হলে গরু প্রতি ২৫০০ টাকা হাট মালিককে দিয়ে যেতে হবে।
এদিকে, হাট ভর্তি গরু থাকার পরেও অন্য হাট থেকে ট্রাক ভর্তি গরু এসে রাস্তায় ভিড় করছে। নামানোর জায়গা না পেয়ে অনেকে ফেরত নিয়ে যাচ্ছেন।
রাত যতো গভীর হচ্ছে গরু ব্যবসায়ী ও মালিকের চেহারা ততো মলিন হচ্ছে। মানিকগঞ্জের রফিক সকালে দু’টি ছোট গরু এনে রাস্তায় দাঁড়িয়েছেন। সকালে যে গরুটা ৫৫ হাজার দাম উঠেছিল, সেই গরু এখন ৩০ হাজার টাকা দাম করছেন। তার ইচ্ছে, এখন ৫০ হাজার হলেই ছেড়ে দেবেন। কিন্তু কেউ দামই করছেন না।
গাবতলী হাটে এখনও যে সংখ্যক গরু আছে তাতে পুরো রাজধানীবাসীর চাহিদা মেটানো সম্ভব। মূল হাট ছাড়াও রাস্তার দুই পাশে অসংখ্য গরু অবিক্রিত। অনেকে আবার দাম কমার কথা শুনে নতুন করে গরু কিনতে হাটে হাজির হয়েছেন। শেষ পর্যন্ত বিপুল সংখক গরু ফেরত যাবে বলে ধারণা করছেন সংশ্লিষ্টরা।
বাংলাদেশ সময়: ২২৫৪ ঘণ্টা, আগস্ট ২১, ২০১৮
এসএস/পিএম/এসআই