বুধবার (২২ আগস্ট) গাবতলী হাটে ঘুরে ও ব্যাপারীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ছাগলের বেচাকেনা নেই বললেই চলে। কারণ একটু বেশি দাম দিলেই মিলছে গরু।
সাভারের ধামরাই এলাকার ছাগলের ব্যাপারী সুরত আলী বাংলানিউজকে বলেন, আমি গতকাল একটি খাসী বিক্রি করেছি ৫০ হাজার টাকায়। মাংস হবে ৪৫ কেজির মতো। আর আজ আড়াই মণ মাংস হবে এমন গরুই বিক্রি হচ্ছে ৪০-৪৫ হাজার টাকায়। তাহলে ছাগলের দামে তো গরুই পেয়ে গেলো। ছাগল কিনবে কেন। আমাদের বেচাকেনা মোটেই নেই।
পাবনার সাঁথিয়ার রাশেদ আলী ব্যাপারী হাটে বড় বড় ১০টি গরু তুলেছেন। এর মধ্যে তিনটি গরু লোকসানে বিক্রি করেছেন। বাকি সাতটি বাড়ি নিয়ে যাবেন। একেবারে ভেঙে পড়েছেন রাশেদ।
‘ঈদের দিনও অনেকে কোরবানির জন্য গরু কিনতে এসেছেন। কিন্তু ঈদের দিন গরুর দাম আরও কম বলে। কিছু কিছু মানুষের বিবেক নেই। ২ লাখ ৪০ হাজার টাকার গরু মাত্র ৮০ হাজার টাকা দাম বলে। ছাগলের বদলে আজ অনেকে গরু কিনছে।
কুষ্টিয়ার রফিকুল বলেন, গরুর দাম একেবারে অর্ধেক হয়ে গেছে। আমি আড়াই মণ মাংস হবে এমন গরু ৪০ হাজারে বিক্রি করছি। অথচ ৬০ হাজার টাকা দাম হওয়া উচিত ছিল।
ব্যাপারীদের এবার মাথায় হাত। সবাই গরু নিয়ে ফিরছেন নিজ নিজ গন্তব্যে। চাঁপাইনবাবগঞ্জের কাশিম ব্যাপারী। ১১০টি গরু হাটে তুলেছেন। এর মধ্যে মাত্র ১০টি বিক্রি করেছেন। গরু ঢাকায় আনতে প্রতি ট্রাকের ভাড়া ২৮ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। একই পরিমাণে খরচ হবে তার ফিরিয়ে নিতেও।
টেনশনে কারো সঙ্গে কথা বলছেন না কাশিম। ঈদ মাটি করে ঘাড়ের গামছা দিয়ে চোখ মুছতে মুছতে হাট ছাড়ছেন ব্যাপারীরা।
ব্যাপারীদের দাবি, এবার গেরস্ত ভালো দাম পেয়েছে। তাদের কাছ থেকে চড়া দামে গরু কিনেছেন ব্যাপারীরা।
বাংলাদেশ সময়: ১২৩৪ ঘণ্টা, আগস্ট ২২, ২০১৮
এমআইএস/এএ