বুধবার (২২ আগস্ট) রাজধানীর হাজারীবাগ ট্যানারি এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, দুপুরের পর থেকেই ব্যবসায়ীরা চামড়া কিনতে শুরু করেছেন। হাজারীবাগের ট্যানারি এলাকার রাস্তায় চামড়া ব্যবসায়ীদের ভিড়।
ফুট মেপে কেন চামড়া কেনা হচ্ছে না এ বিষয়ে জানতে চাইলে হাজারীবাগ ট্যনারি এলাকার চামড়া সংগ্রহকারী রিপন শেখ বলেন, আমরা চামড়া দেখেই বলতে পারি, সেটা কত ফুট হতে পারে। দেখতে দেখতে আমাদের একটা অভিজ্ঞতা হয়েছে। তাই সেই অনুযায়ীই চামড়া কিনি। মাপ না করে চামড়া কিনলেও ক্রেতা-বিক্রেতা কেউ ঠকবেন না।
হাজারীবাগের চামড়া ব্যবসায়ী মুন্সী আবদুল লতিফ বলেন, এখন ভাদ্র মাস। গরম পড়ছে। গরমে চামড়া দ্রুত নষ্ট হয়ে যায়। অনেকেই চামড়া ঠিকমতো সংরক্ষণের বিষয়টি জানেন না। সে কারণে চামড়া আমাদের কাছে পৌঁছালে দ্রুত আমরা সংরক্ষণ করতে পারি। চামড়ায় দ্রুত লবণ না দিলে চামড়া গরমে নষ্ট হয়ে যেতে পারে।
হাজারীবাগ এলাকায় দেখা গেছে, চামড়া খুচরা ও পাইকারি উভয়ভাবেই বেচাকেনা চলছে। এসব চামড়া কিনছেন ব্যবসায়ীরা। তারা কেনার পর ট্যানারিতে বিক্রি করবেন। সে কারণে চামড়া কখনও কখনও দুই-তিন হাত ঘুরে বিক্রি হয় বলেও জানালেন ব্যবসায়ীরা।
তারা জানান, গরুর চামড়া আকারভেদে ৩শ’ থেকে ৯শ’ টাকা পর্যন্ত বেচাকেনা হচ্ছে। তবে সন্ধ্যার পর থেকে বেচাকেনা আরও জমবে।
হাজারীবাগের চামড়া ব্যবসায়ীরা বলেন, সাভারে ট্যানারি স্থানান্তর হওয়ায় আগের মতো আর এখানে চামড়া বেচাকেনা হয় না। অনেক ট্যানারির মালিকরা ঢাকা থেকে চামড়া সংগ্রহের পর সরাসরি সাভারের ট্যানারিতে নিয়ে যান। সে কারণে এখানে আর বেচাকেনার চাপ নেই। তারপরেও দীর্ঘদিন ধরে এই এলাকায় চামড়া বেচাকেনার প্রচলন হওয়ায় এখনও সেই ঐতিহ্য রয়ে গেছে।
উল্লেখ্য, সরকার এই বছর গরুর চামড়া প্রতি বর্গ ফুট চামড়া ৪৫-৫০ টাকা নির্ধারণ করেছে। ট্যানারি মালিকরা ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে সেই অনুযায়ীই চামড়া কিনবেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৯০২ ঘণ্টা, ২২ আগস্ট, ২০১৮
টিআর/আরআর