অবশ্য আড়তদারদের দাবি সরকার নির্ধারিত দামেই চামড়া কিনেছেন তারা। চামড়ার বাজার মন্দার জন্য একে-অপরের দোষ দিচ্ছে তারা।
টাঙ্গাইলের মৌসুমী ব্যবসায়ীরা বাংলানিউজকে জানান, এক লাখ থেকে ওপরে কেনা দামের ষাঁড়ের চামড়া গ্রাম-পাড়া ও মহল্লা থেকে সর্বোচ্চ ৯০০ টাকা দিয়ে কিনেছেন। আর এর কমে কেনা ষাঁড়ের চামড়া কিনেছেন প্রতি পিস ৭০০ থেকে ৮০০ টাকায়। ছাগলের চামড়া প্রতি পিস ৩০ থেকে সর্বোচ্চ ৫০ টাকা দামে কিনেছেন। দিনশেষে এ চামড়া নাম মাত্র দামে আড়তদারের কাছে বিক্রি করেছেন।
মৌসুমী ব্যবসায়ী মো. জালাল মিয়া জানান, তিনি এবার ৪০ টি গরুর চামড়া ও ৩০টি ছাগলের চামড়া কিনেছেন। এসব চামড়া বিক্রি করে কোনো রকম চালান তুলেছেন তিনি।
টাঙ্গাইলের কান্দাপাড়ার চামড়া ব্যবসায়ী আক্তার হোসেন জানান, ট্যানারি মালিকরা সিন্ডিকেটের মাধ্যমে দাম কমালে আমরা বেশি দামে চামড়া বিক্রি করবো কোথায়? আগে যে চামড়া সাড়ে তিন হাজার টাকা বিক্রি করতাম, সেই চামড়া এখন এক হাজার টাকা বিক্রি করতে হয়।
পাইকারি ব্যবসায়ী মো. শাহজাদা জানান, চামড়ার বাজারে মন্দাভাব থাকায় এবার তারা গরুর চামড়া কিনেছেন ৭০০ টাকা থেকে সর্বোচ্চ ১২০০ টাকায়।
একই এলাকার চামড়ার আড়তদার কৃষ্ট লাল জানান, টাঙ্গাইল শহরে ১৫ জনের মতো আড়তদার রয়েছে। গত বছর তারা সব আড়তদার মিলে প্রায় ১৩ হাজার চামড়া সংরক্ষণ করেছিলেন। তিনি ব্যক্তিগতভাবে গত বছর দুই হাজার চামড়া সংরক্ষণ করেন। এ বছর তিনি প্রায় এক হাজার চামড়া সংরক্ষণ করেছেন।
আড়তদার নুরুল ইসলাম জানান, ট্যানারি ব্যবসায়ীদের সিন্দিকেটের কারণে তারা চামড়া পানির দামে বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছেন। তিনি ট্যানারি ব্যবসায়ীদের কাছে ৮০ লাখ টাকা পান। এ বছর তাকে মাত্র আড়াই লাখ টাকা দিয়েছে। এভাবে আর ব্যবসা টিকিয়ে রাখা যায় না।
এবার সরকারিভাবে কোরবানির গরুর চামড়া প্রতি বর্গফুট ঢাকায় ৫০ থেকে ৫৫ টাকা ও ঢাকার বাইরে ৪০ থেকে ৪৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়। এছাড়া সারাদেশে খাসির চামড়া প্রতি বর্গফুট ২০ থেকে ২২ টাকা ও বকরির চামড়া ১৫ থেকে ১৭ টাকা নির্ধারণ করা হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১১১৭ ঘণ্টা, আগস্ট ২৪, ২০১৮
ওএইচ/