বিক্রেতারা জানান, চাঁদপুরে প্রচুর ইলিশ ধরা পড়ছে। সামনে আরও দাম কমবে।
শনিবার (১ সেপ্টেম্বর) কারওয়ানবাজারে ‘আল্লাহর দান ফিস’ –এ এক কেজি ওজনের ইলিশ ১২শ’ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। প্রতিটি ৮৫০ গ্রাম ওজনের একটি ইলিশ কিনতে খরচ হবে ৬৫০ টাকা। এছাড়া ৫শ’ গ্রাম ওজনের ইলিশ ৪শ’ টাকায় ও ৪শ’ গ্রাম ওজনের ইলিশ কিনতে খরচ হবে ২শ’ টাকা।
মাছ বিক্রেতা শুক্কুর আলী বলেন, বাজারে প্রচুর ইলিশ, দামও সস্তা। সামনে আরও কমবে।
কারওয়ানবাজার থেকে ১৬শ’ টাকা দিয়ে এক হালি ইলিশ মাছ কিনে বাড়ি ফিরছেন মাসুদ মিয়া। তিনি মগবাজার মধুবাগ থেকে এসেছেন।
মাসুদ বলেন, ইলিশের দাম তুলনামূলক কম। অন্য সময় বাড়তি থাকে। এক হালি মাছ দুই কেজির বেশি হবে, মাত্র ১৬শ’ টাকায় কিনেছি। অন্য সময় এই দামে পাওয়া যাবে না।
ইলিশের প্রভাবে অন্য মাছেও ইতিবচক প্রভাব পড়েছে। প্রতি কেজি বড় আকারের সিলভার ১৮০, মৃগেল ৩শ’, কাতলা ৩শ’, বার্মিজ কাতলা ৩শ’ ও দেশি কাতলা ৪শ’ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। তেলাপিয়া ১৩০, কোরাল ৫৫৯, বোয়াল ৪৫০, কই ১৭০ ও শিং ৫শ’ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
তবে ক্রেতারা এখন ইলিশ মাছ বেশি কিনছেন।
মাছ বিক্রেতা আমিনুল ইসলাম বলেন, মানুষের ফ্রিজে কোরবানির মাংস ভরপুর। বাজারে মাছও ভরপুর। মাছের ক্রেতা কম, আমদানি বেশি।
চালের দামও স্থিতিশীল আছে। মিরপুর বিএনপি বাজারে প্রতি কেজি নাজিরশাইল ৫৭ থেকে ৬০, আটাশ ৪২ থেকে ৪৩, মিনিকেট ও স্বর্ণা ৪১ থেকে ৪২ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। তবে খোলা পোলাওয়ের চাল ৫ টাকা বেড়ে ৮৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
কমেছে ব্রয়লার মুরগির দাম। প্রতি কেজি ১২০ থেকে ১২৫ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
পেঁয়াজেও রয়েছে স্বস্তি। দেশি পেঁয়াজ ৫০ ও ভারতীয় মোটা পেঁয়াজ ৩০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। মাত্র ৫০ থেকে ৫৫ টাকায় মিলছে এক কেজি মরিচ।
বাংলাদেশ সময়: ১৩২০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০১, ২০১৮
এমআইএস/আরআর