কখনও দাম চড়ছে, আবার কখনও দাম কমছে এরইমধ্য দিয়ে ব্যবসায়ীরা ইলিশ সরবরাহ করে বরিশালসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে নিয়ে যাচ্ছেন।
ব্যবসায়ী ও মৎস্যজীবীরা জানিয়েছেন, ৪/৫ দিন ধরে সাগরের পাশাপাশি নদীর ইলিশও ধরা পড়ছে এবং বাজারে আসতে শুরু করেছে।
তবে চলতি মাসজুড়ে বাজারে ইলিশের আমদানি বেশ ভালো থাকবে বলে আশা করছেন ব্যবসায়ীরা। যারমধ্য দিয়ে মৌসুম ভালোভাবে কাটবে বলেই মনে করছেন তারা।
পোর্টরোডের মৎস্য ব্যবসায়ী মাসুম ব্যাপারি জানান, বরিশালের একমাত্র মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে গত কয়েকদিন ধরে ইলিশের আমদানি বেড়েছে। সে হিসেবে রোববার আমদানি কিছুটা কম থাকলেও সময়ের সঙ্গে সঙ্গে আরও বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
এখন সাগরের পাশাপাশি নদীর ইলিশও পাওয়া যাচ্ছে, আর মাছের আকারও বেশ ভালো। আমদানি বাড়ায় বিগত সময়ের থেকে মাছের দর কিছুটা কম, তবে আমদনি বাড়লে এ দর আরও কমবে।
পোর্টরোডে আসা ক্রেতা মনিরুল ইসলাম জানান, বাজারে প্রচুর ইলিশ রয়েছে, তবে খুচরা ব্যবসায়ীরা বেশ দাম হাকছেন। যা পাইকারি দামের সঙ্গে মিলছে না। এজন্য বাজার মনিটরিং করা হলে ভালো হতো।
পোর্টরোডের ব্যবসায়ী মো. নাছির উদ্দিন বলেন, পাইকারি বাজারে ৪শ’ গ্রাম ওজনের নিচে (জাটকা) ইলিশ মণ প্রতি বিক্রি হচ্ছে ১৩-১৪ হাজার টাকায়, এর ওপরে ৪শ’ থেকে ৫ শ’ গ্রাম (ভ্যালকা) পর্যন্ত ইলিশের মণ রয়েছে ২৪ হাজার টাকা, ৬ থেকে ৯ শ’ (এলসি) গ্রাম ওজনের ইলিশের দাম মণ প্রতি বিক্রি হচ্ছে ৩৫ হাজার টাকায়, ১ কেজি ইলিশের মণ ৪৪ হাজার এবং এর ওপরের ১২ শ’ গ্রাম ইলিশ মণ প্রতি বিক্রি হচ্ছে ৬০-৭০ হাজার টাকায়।
মো. ইউসুফ মাঝি বলেন, এবারে দেশের অভ্যন্তরীণ অর্থাৎ দক্ষিণাঞ্চলের নদীতে মাছের চাপ বাড়তে সময় লাগছে। ফলে নদীর মাছ এখন পর্যন্ত কিছুটা কম। আর সাগরে মাছ থাকলেও মৌসুমের শুরুর দিকে আবহাওয়ার কারণে ইলিশ সরবরাহ কিছুটা কম। তবে প্রতিদিন যেভাবে মাছ ধরা পড়ছে, সেরকম যদি চলতি মাস কাটে তাহলে মৎস্যজীবী থেকে শুরু করে ব্যবসায়ী পর্যন্ত কারো লোকসান হবে না।
মাছের আমদানি থাকায় সকাল থেকে পোর্টরোডের মাছের আড়ৎ, বরফকলকেন্দ্রিক শ্রমিকরা কর্মব্যবস্ততার মধ্যদিয়ে দিন পার করছেন। সঙ্গে ক্রেতা-বিক্রেতাদের উপস্থিতিতে পুরো পোর্টরোড এলাকা সরগরম থাকছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৪৬ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০২, ২০১৮
এমএস/আরআর