এসব বাজার ঘুরে দেখা যায়, প্রতিকেজি পটল ৪০ থেকে ৪৫ টাকা, শসা ৫০ থেকে ৬০ টাকা, চিচিঙ্গা ৫০ টাকা, ঢেঁড়শ ৩০ থেকে ৪০ টাকা, কচুর ছড়া ৫০ থেকে ৬০ টাকা, করলা ৪৫ থেকে ৫০ টাকা, করলা ৫০ থেকে ৬০ টাকা, বরবটি ৬০ থেকে ৭০ টাকা, টমেটো ৯০ থেকে ১০০ টাকা, গাজর ৮০ থেকে ১০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করতে দেখা গেছে। এছাড়া প্রতি পিস লাউ ৫০ থেকে ৬০ টাকা, বাঁধাকপি ৫০ থেকে ৬০ টাকা, ফুলকপি ৬০ থেকে ৭০ টাকায় বিক্রি করতে দেখা যায়।
মসলা জাতীয় পণ্যের মধ্যে সবচেয়ে বেশি দাম বেড়েছে আদার। সপ্তাহের ব্যবধানে কেজি প্রতি দাম বেড়েছে ২০ থেকে ৩০ টাকা পর্যন্ত। এসব বাজারে প্রতি কেজি আদা বিক্রি হচ্ছে ১৪০ থেকে ১৫০ টাকা দরে। পেঁয়াজ (দেশি) প্রতি কেজি ৬০ টাকা, পেঁয়াজ (ইন্ডিয়ান) ৩৫ টাকা, রসুন (দেশি) ৭০ টাকা, রসুন (ইন্ডিয়ান) ৮০ থেকে ৯০ টাকা।
সাপ্তাহিক বাজার করতে শান্তিনগর বাজারে এসেছেন ব্যাংক কর্মকর্তা কামাল হোসেন। বাংলানিউজের কাছে অভিযোগ করে তিনি বলেন, বাজারে পর্যাপ্ত শাক-সবজিসহ প্রতি সপ্তাহে বাড়ছে বেশিরভাগ পণ্যের দাম। বাজার নিয়ন্ত্রণে নিয়মিত বাজার মনিটরিংয়ের প্রয়োজন বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
তবে এ বাজারের বিক্রেতা সাইফুল ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, এখন পাইকারি বাজারে সব পণ্য পর্যাপ্ত নেই। পণ্যের ঘাটতি থাকায় দাম বাড়ছে। এ বিক্রেতার মতে, বাজারে পণ্যের দাম স্বাভাবিক রয়েছে।
তবে স্থিতিশীল রয়েছে ভোজ্যতেল, চাল-ডালের দাম। প্রতি লিটার ভোজ্যতেল বিক্রি হচ্ছে ১০৮ টাকায়, মসুর ডাল ৯০ থেকে ১০০ টাকা কেজি দরে। চাল নাজির ৭০ টাকা, মিনিকেট ৬০ টাকা, মিনিকেট (সিরাজ) ৬০ টাকা, ২৯ চাল ৫০ টাকা, ২৮ চাল ৫০ টাকা, মোটা চাল ৪৮ টাকা কেজি দরে বিক্রি করতে দেখা যায়।
শান্তিনগর, মালিবাগ, সেগুনবাগিচা বাজারে মাংসে কিছুটা স্বস্তি রয়েছে। এসব বাজারে প্রতি কেজি বয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ১৪০ থেকে ১৫০ টাকায়, লেয়ার ২৪০ থেকে ২৫০ টাকায়। আর গরুর মাংস বিক্রি করতে দেখা যায় ৪৮০ থেকে ৫০০ টাকায়, খাসির মাংস ৭৮০ টাকা কেজি দরে। অন্যদিকে ডিমের দাম হালিতে ৩ থেকে ৫ টাকা পর্যন্ত কমেছে। বয়লার মুরগির ডিমের হালি ৩২ টাকা, দেশি মুরগি ও হাঁসের ডিম প্রতি হালি বিক্রি করতে দেখা গেছে ৪৫ টাকায়।
বাংলাদেশ সময়: ১১০৪ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০৭, ২০১৮
ইএআর/এমজেএফ