জেলার ৯ উপজেলার ৬৮টি ইউনিয়নে ১৭২ জন ডিলারের মাধ্যমে এ চাল বিক্রি করা হবে । ৮৩ হাজার ৯৪৪ পরিবারের জন্য সাড়ে ৭ হাজার মেট্রিক টন চাল বরাদ্দ করা হয়েছে।
খুলনা জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মো. কামাল হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, ১ সেপ্টেম্বর থেকে নভেম্বর পর্যন্ত দেশের ৫০ লাখ হতদরিদ্র পরিবারকে ১০ টাকা কেজি দরে চাল দেওয়া হচ্ছে। ১০ সেপ্টেম্বর থেকে খুলনায় ১০ টাকা কেজি দরে চাল বিক্রি শুরু হবে। খুলনা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হেলাল হোসেন ডুমুরিয়া উপজেলায় এ কার্যক্রমের উদ্বোধন করবেন।
খুলনা জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক দপ্তর সূত্র জানায়, চাল বিতরণের লক্ষ্যে রূপসার ৫টি ইউনিয়নে ২০ জন ডিলার রয়েছেন। উপকারভোগী ১০ হাজার ২৮৮ জন। দাকোপ উপজেলায় রয়েছেন ৯টি ইউনিয়নে ২৭ জন ডিলার। আর উপকারভোগী ১৪ হাজার ৬৯৫ জন। ফুলতলার ৪টি ইউনিয়নে ১০ জন ডিলার রয়েছেন, উপকারভোগী ৪ হাজার ৮৪ জন। ডুমুরিয়ার ১৪টি ইউনিয়নে ১৯ জন ডিলার এবং উপকারভোগী ৮ হাজার ৯৫৬ জন। পাইকগাছার ১০টি ইউনিয়নে ২৪ জন ডিলার, উপকারভোগী ১৩ হাজার ১২৩ জন। তেরখাদার ৬টি ইউনিয়নে ১১ জন ডিলার রয়েছেন, উপকারভোগী ৪ হাজার ৫২০ জন। বটিয়াঘাটার ৭টি ইউনিয়নে ২৩ জন ডিলার রয়েছেন, উপকারভোগী ১০ হাজার ৫০৫ জন। দিঘলিয়ার ৬টি ইউনিয়নে ১৭ জন ডিলার রয়েছেন, উপকারভোগী ৭ হাজার ৪১৫ জন এবং কয়রার ৭টি ইউনিয়নে ডিলার ২১ জন ও উপকারভোগী ১০ হাজার ৩৫৯ জন রয়েছেন। কার্ডধারী পরিবারকে নীতিমালা অনুযায়ী প্রতিমাসে ৩০ কেজি করে চাল দেওয়া হবে।
জানা যায়, এবার ৩০ কেজি করে চালের বস্তা প্যাকেট করা রয়েছে। ফলে মাপার কোনো ঝামেলা নেই। সপ্তাহে দু’দিন চাল বিতরণ করা হবে। উপজেলা প্রশাসন ঠিক করবে- সপ্তাহে কোন কোন দিন চাল বিতরণ করা হবে।
এদিকে হতদরিদ্রদের জন্য ১০ টাকা কেজি দরের চাল নিয়ে যেন কোনো অনিয়ম না হয়, সেজন্য যথাযথ তদারকির দাবি জানিয়েছে সচেতন মহল।
বাংলাদেশ সময়: ১০৩৬ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০৯, ২০১৮
এমআরএম/এইচএ/