শনিবার (১৫ সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশ এশিয়াটিক সোসাইটি মিলনায়তনে খেলাঘর ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আয়োজিত ‘শিখর জয়ের গল্প’ শীর্ষক সেমিনারে তিনি একথা বলেন।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের আগের গভর্নররা শুধু তেলে মাথায় তেল দিয়েছে।
এরপর পর্যায়ক্রমে মোবাইল ব্যাংকিং চালু করেছি। ফলে মোবাইল ব্যাংকিয়ের আওতায় এসেছে আট কোটি ৮০ লাখের বেশি দরিদ্র মানুষ। এর মধ্যে রিকশাওয়ালা, কৃষকসহ সব শ্রেণির মানুষ রয়েছে। তারা এখন মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে প্রতিদিন ঢাকা থেকে নিজের গ্রামের পরিবার-পরিজনের কাছে ১ হাজার কোটি টাকা পাঠাচ্ছে।
সাবেক এই গভর্নর বলেন, মাত্র ১০ টাকায় কৃষকদের ব্যাংক অ্যাকাউন্টের পাশাপাশি পথশিশু ও স্কুলের বাচ্চাদের জন্যও লাখ লাখ ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খোলার ব্যবস্থা করা হয়েছে। সরকারের এসব উদ্যোগের ফলে বাংলাদেশ এখন উন্নয়শীল দেশে পরিণত হচ্ছে। তবে দুর্নীতি কমালে আরো দ্রুত দেশের উন্নতি হতো।
ভবিষৎ প্রজন্মকে সুশিক্ষায় শিক্ষত হওয়ার পরামর্শ দিয়ে আতিউর রহমান বলেন, যে শিক্ষা জীবনকে সংগ্রাম করতে শেখায়, সংগ্রামে শক্তি ও সাহস জোগায় সেই শিক্ষা অর্জন করতে হবে।
খেলাঘর কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি কাজী জাবেদ ইকবাল শিহাবের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন এভারেস্ট বিজয়ী এম এ মুহিত, খেলাঘরের চেয়ারপারসন প্রফেসর মাহফুজা খানম, সাধারণ সম্পাদক জহিরুল ইসলাম জহির প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ০৪১৩ ঘণ্টা, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০১৮
এমএফআই/এমআইএইচ/এসআইএস