আমদানি পণ্য খালাসে অতিরিক্ত অর্থ আদায়ের অভিযোগ এনে শনিবার (২২ সেপ্টেম্বর) দুপুরে ভারতের পেট্রাপোল বন্দরের ব্যবসায়ীরা এ ধর্মঘটের ডাক দিয়ে বাণিজ্য বন্ধ করে দেন।
এদিকে ব্যবসায়ীরা দুই পক্ষই তাদের সিদ্ধান্তে অটল থাকায় দ্রুত বাণিজ্য সচলের কোনো সম্ভবনা দেখা যাচ্ছে না।
এ পথে আমদানি-রফতানি বাণিজ্য বন্ধ থাকায় দুই বন্দরে প্রবেশের অপেক্ষায় প্রায় সহস্রধিক পণ্য বোঝায় ট্রাক আটকা আছে। এসব পণ্যের মধ্যে শিল্প কারখানায় ব্যবহৃত কাঁচামাল ও পচনশীল পণ্য রয়েছে। দ্রুত ধর্মঘট প্রত্যাহার না হলে বড় ধরনের লোকসানের আশঙ্কা করছেন ব্যবসায়ীরা।
বেনাপোল সিঅ্যান্ডএফ অ্যাসোসিয়েশনের বন্দর বিষয়ক সম্পাদক নাজিম উদ্দিন বাংলানিউজকে বলেন, তারা নিজেদের মধ্যে সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করছেন। তবে ভারতের পেট্রাপোল বন্দরের ব্যবসায়ীদেরও কিছু সমস্যা আছে। তারা অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড করবে আর কিছু বলা হলে বাণিজ্য বন্ধ করবে। এটা অযৌতিক।
এদিকে ভারতের পেট্রাপোল বন্দরের সিঅ্যান্ডএফ স্টাফ অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক কার্তিক চন্দ্র বাংলানিউজকে বলেন, গত সপ্তাহে দুই দেশের ব্যবসায়ীদের মধ্যে সমঝোতামূলক বৈঠক হয়েছে। সেখানে বিভিন্ন বিষয়ে লেন-দেন নিয়ে ব্যবসায়ীরা একমত পোষণ করলেও পরে বাংলাদেশি ব্যবসায়ীরা তা মানছেন না। এ কারণে ধর্মঘট ডাকা হয়েছে।
সন্তোষজনক সমাধান না হওয়া পর্যন্ত বেনাপোল বন্দরের সঙ্গে সব ধরনের বাণিজ্য বন্ধ থাকবে বলেও জানান সম্পাদক কার্তিক।
বেনাপোল বন্দরের আমদানি-রফতানি সমিতির সভাপতি আমিনুল হক বাংলানিউজকে বলেন, বেনাপোল বন্দর দিয়ে যেসব পণ্য আমদানি হয়ে থাকে তার অধিকাংশ থাকে শিল্প কারখানার জরুরি কাঁচামাল। দুই দিনের ধর্মঘটে পণ্যবাহী ট্রাক আটকে থাকায় দেশে শিল্প কারখানায় উৎপাদন কাজ ব্যহত হচ্ছে। বন্দরে কোনো পণ্যবাহী ট্রাক একদিন আটকে থাকলে তার জন্য মালিকপক্ষকে ট্রাক প্রতি দুই হাজার রুপি লোকসান গুণতে হয়। এছাড়া অধিকাংশ ব্যবসায়ী ব্যাংক লোন নিয়ে ব্যবসা করেন। এতে গত দুই দিনে বাংলাদেশি ব্যবসায়ীদের প্রায় দুই কোটি টাকা লোকসান হয়েছে।
বেনাপোল বন্দর পরিচালক (ট্রাফিক) আমিনুল ইসলাম বাংলানিউজকে জানান, দুই দেশের বন্দর ব্যবহারকারী ব্যবসায়ীদের অভ্যন্তরীণ কিছু সমস্যার কারণে বাণিজ্য বন্ধ রয়েছে। এটা বন্দরের নিজস্ব বিষয় না হলেও তিনি সমস্যা সমাধানে বৈঠক ডেকেছেন। আশা করছেন সেখানে ফলপ্রসূ আলোচনার মাধ্যমে বিষয়টির সমাধান হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৪০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৩, ২০১৮
এজেডএইচ/আরআইএস/