ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

প্লেন থেকে সিলভারি ভিউ, খুব ভালো লাগে অর্থমন্ত্রীর

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮১১ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৫, ২০১৮
প্লেন থেকে সিলভারি ভিউ, খুব ভালো লাগে অর্থমন্ত্রীর সচিবালয়ে বৈঠকে অর্থমন্ত্রী ও অন্য অতিথিরা

ঢাকা: গ্রাম থেকে শহরে সর্বত্র উন্নয়নের ছোঁয়া লেগেছে জানিয়ে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেছেন, আবাসন খাতও অনেক এগিয়েছে।

সরকারি কর্মচারীদের ৫ শতাংশ সুদে গৃহ নির্মাণে ঋণ দিতে অর্থ বিভাগের সঙ্গে বাংলাদেশ হাউস বিল্ডিং ফাইন্যান্স করপোরেশন, রাষ্ট্রায়ত্ত্ব সোনালী, জনতা, অগ্রণী ও রূপালী ব্যাংকের মধ্যে সমঝোতা স্মারক অনুষ্ঠানে একথা বলেন মন্ত্রী।

অর্থমন্ত্রীর উপস্থিতিতে মঙ্গলবার (২৫ সেপ্টেম্বর) সকালে সচিবালয়ে অর্থ বিভাগের পক্ষে অতিরিক্ত সচিব জাফর উদ্দিন এবং আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর কর্মকর্তারা সমঝোতা স্মারক সই করেন।

চুক্তি নিয়ে অর্থমন্ত্রী বলেন, এর উদ্দেশ্য হচ্ছে সরকারি কর্মচারীরা অবসরের সময় অন্তত পক্ষে একটা আশ্রয় সম্পর্কে নিশ্চিত হতে পারেন, তার ব্যবস্থা করা হলো।

তিনি বলেন, সংবিধান অনুযায়ী খাদ্য, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, আবাসন- এটা আমাদের নিশ্চিত করা প্রয়োজন। আমরা প্রথমে নজর দিয়েছি খাদ্যের প্রতি এবং বর্তমানে আমরা একটা ভালো অবস্থানে আছি। সেখানে আধুনিক প্রযুক্তি আমাদের ব্যাপকভাবে সাহায্য করেছে। চাষযোগ্য জমি অনেক কমে গেছে কিন্তু খাদ্য উৎপাদন ব্যাপকভাবে বাড়িয়েছি, চারগুণ হয়েছে। আমরা শুরু করেছিলাম এক কোটি এক লাখ টন, এখন চার কোটি ছাড়িয়ে গেছে।  

অর্থমন্ত্রী বলেন, শিক্ষার ব্যাপারেও আমরা যথেষ্ট অগ্রগতি এরইমধ্যে আহরণ করেছি। যদিও এখনও সার্বজনীন শিক্ষা মোটামুটি হয়নি। আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি আমাদের দেশের লোকজন যারা আছেন, তাদের ৪০ বছর পর্যন্ত যাদের বয়স তাদের শিক্ষিত করবো। তাদের চেয়ে যারা বেশি বয়স্ক, তাদের ব্যাপারে আমরা আর অতো খেয়াল করছি না। সেটা নিয়ে আমরা যথেষ্ট অগ্রসর হয়েছি। এই মুহূর্তে আমাদের শিক্ষার নেটে যাদের আবদ্ধ করছি সেটা মোটামুটি ৯৯ শতাংশ বা সাড়ে ৯৮ শতাংশ হয়ে গেছে। সেখানেও আমাদের যথেষ্ট উন্নতি রয়েছে। যদিও শিক্ষিতের হার কোনমতেই আমাদের দেশে হান্ড্রেড পারসেন্ট হবে না। আমার মনে হয় আমরা যদি ৯০ এর কিছু উপরে করতে পারি ‘দ্যাট শ্যুড বি গুড এনাফ’। সেটাই আমাদের জন্য যথেষ্ট হবে। ৪০ এর বেশি বয়সী যারা, তাদেরকে আমদের সেখান থেকে বাদ দিতে হয়।

অর্থমন্ত্রী আরো বলেন, স্বাস্থ্যখাতে খুব বেশি স্বীকৃতি হয় না। কিন্তু আমার মনে হয় একটা ব্যাপক উন্নতি সাধিত হয়েছে কমিউনিটি সেন্টারগুলোর মাধ্যমে। এখন যেমন অ্যাটেন্ডেড বাথ অনেক বেড়ে গেছে, ৬০-৭০ শতাংশ। এটার প্রধান জায়গাটা হচ্ছে কমিউনিটি হেলথ সেন্টার।

অর্থমন্ত্রী বলেন, আবাসনে আমরা অনেক পিছিয়ে আছি, এখন আবাসনে জোর দেওয়া হচ্ছে। এই সভার উদ্দেশ্য হচ্ছে আবাসনের উপর জোর দেওয়া। আবাসন শতভাগ করতে সময় লাগবে। এখন ৬০ শতাংশের উপর হয়তো আবাসন আছে। বাকিরা ঝুঁপড়ি-টুপড়ি কোনভাবে থাকে।

‘তবে এটাও লক্ষ্যণীয়, আমি বিশেষ করে নজর করি যখন প্লেনে ঢাকায় এসে নামি তখন একটা সিলভার দেখা যায়, ব্যাপকতা। একটা সিলভারি ভিউ পাওয়া যায়। এর থেকে বোঝা যায় আমাদের যে উন্নয়নটা হয়েছে এটা সর্বব্যাপী উন্নয়ন। শুধু শহরের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়, সারাদেশে উন্নয়নের ছোঁয়া লেগেছে। আবাসন খাতে যখন এই দৃশ্যটা উড়োজাহাজ থেকে দেখি তখন খুব ভালো লাগে। যদিও আমি জানি আবাসনে যথেষ্ট পেছনে আমরা আছি। ’ 

চুক্তির বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, এটা একদিকে অত্যন্ত ডেমোক্রেটিক উদ্যোগ। এটা শুধু উপরের শ্রেণীর কর্মচারী নয়, সব শ্রেণীর কর্মচারী সুবিধা পাবে।  

কর্মকর্তারা জানান, ৫ শতাংশ সুদের ঋণ পেতে ১ অক্টোবর থেকে আবেদন করা যাবে। তবে অটোমেটেড সিস্টেমে যারা আগে আসবে তারা আগে সুবিধা পাবে। নভেম্বর বা ডিসেম্বরে প্রথমে ঋণ পাবে।  

দেশে বর্তমানে সরকারি কর্মচারী প্রায় ১৪ লাখ। দুই লাখ কর্মচারীকে ঋণ সুবিধা দিলে সরকারি ৯০০ কোটি টাকা ভর্তুকি প্রয়োজন পড়বে। আর ভবিষ্যতে স্বায়ত্বশাসিত প্রতিষ্ঠান এবং করপোরেট প্রতিষ্ঠানের কর্মীরা এই সুবিধার আওতায় আসবে।  

বাংলাদেশ সময়: ১৪০৮ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৫, ২০১৮
এমআইএইচ/জেডএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।