বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র সিরাজুল ইসলাম বলেন, সিটি ব্যাংক ও এক্সিম ব্যাংকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে চীনের হংকংয়ে কার্যক্রম শুরুর অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। সিটি ব্যাংকের অনাপত্তিপত্র দেওয়া হয়েছে রোববার আর এক্সিম ব্যাংকের অনাপত্তিপত্রটি গত সপ্তাহে দেওয়া হয়েছে।
সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে বাংলাদেশ যে পরিমাণ মেশিনপত্র ও পণ্য আমদানি করে তার মধ্যে ২৫ দশমিক ২ শতাংশই আমদানি করা হয় চীনে থেকে। তাই দেশটির সঙ্গে আমদানি-রফতানি বাণিজ্য আরও বাড়ানোর জন্য নতুন করে সিটি ও এক্সিম ব্যাংক চীনের বিশেষ অঞ্চলে এজেন্ট অফিস খোলার জন্য হংকং ব্যাংক কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন করেছে।
হংকং ব্যাংক কর্তৃপক্ষের অনুমোদন পেলে কার্যক্রম শুরু করবে ব্যাংক দু’টি।
এ বিষয়ে সিটি ব্যাংকের অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাশরুর আরেফিন বলেন, বিশ্ব বাণিজ্য সম্প্রসারণের অংশ হিসেবে আমরা হংকংয়ে বিভিন্ন ধরনের পণ্য আমদানি-রফতানি বৃদ্ধির জন্য এজেন্ট কার্যালয় খুলতে যাচ্ছি। এজন্য আমরা খুব শিগগির হংকং ব্যাংক কর্তৃপক্ষের অনুমোদন পাবো বলে আশা করছি।
এর আগে প্রাইম ব্যাংক লিমিটেড, ইস্টার্ন ব্যাংক লিমিটেড ও এবি ব্যাংক লিমিটেড হংকংয়ে তাদের ব্যাংকিং কার্যক্রম শুরু করেছে। বেসরকারি খাতের ব্যাংকগুলো সেখানে ব্যবসা করে মুনাফা করার চেষ্টা করছে বলে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।
এজেন্ট অফিসগুলোর মাধ্যমে চীনের সঙ্গে ব্যবসায়ী কার্যক্রম আরও শক্তিশালী করার চেষ্টা করছে দেশটির এক নম্বর ব্যবসায়ী অংশীদার বাংলাদেশ। ২০১৬-১৭ অর্থবছরে বাংলাদেশ চীন থেকে ১০ দশমিক ১৯ বিলিয়ন ডলারের পণ্য আমদানি করেছে। যা দেশের মোট আমদানির ২৫ দশমিক ২ শতাংশ।
বাংলাদেশ সময়: ০৩২২ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৬, ২০১৮
এসই/আরআর