মঙ্গলবার (২ অক্টোবর) রাজধানী ঢাকার আগারগাঁওয়ে বিশ্বব্যাংকের নিজস্ব কার্যালয়ে আয়োজিত এক প্রতিবেদন উপস্থাপন অনুষ্ঠানে এ তথ্য জানায় সংস্থাটি।
সংস্থাটির মতে, দেশে মোট খেলাপি ঋণের পরিমাণ ১০ দশমিক ৪ শতাংশ।
বিশ্বব্যাংকের তথ্যমতে, বাংলাদেশে মূলধন ঘাটতি মোকাবিলায় ব্যাংক ঋণের সুদহার কমানো, সঞ্চয়পত্রের সুদহার কমানো, ও রাজস্ব ব্যবস্থায় প্রযুক্তির ব্যবহার বাড়াতে হবে। একইসঙ্গে রেমিটেন্স ধরে রাখতে হবে, যেটা গত কয়েক বছর কিছুটা কমে গেছে। তাছাড়া রফতানি ও ব্যক্তি বিনিয়োগের ক্ষেত্রে যেসব বাধা আছে তা দূর করতে হবে।
বিশ্বব্যাংক ঢাকা অফিসের মুখ্য অর্থনীতিবিদ জাহিদ হোসেন বলেন, দেশের অর্থনৈতিক গ্রোথ এখন ভালো অবস্থানে আছে। আমাদের জিডিপির পরিমাণ ৭ বা ৬ শতাংশ বড় কথা নয়, আমাদের গ্রোথ ধরে রাখতে হবে। মূল্যস্ফীতি কিছুটা নিম্নগামী, এটা ধরে রাখতে হবে।
অর্থনীতিবিদ আহসান মনসুর বলেন, আমাদের দেশে মেগা প্রকল্প সব ঋণের ওপর নির্ভরশীল, এ বিষয়ে আমাদের সতর্ক হতে হবে। এখন বিলিয়নের হিসাব চলছে কিন্তু আমরা চাই সবুজের সঙ্গে থাকতে, লালের সঙ্গে না। আমরা যেন অন্য দেশের মতো ঋণগ্রস্ত হয়ে না পড়ি এ বিষয়ে সব থেকে গুরুত্ব দিতে হবে।
সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা হোসেন জিল্লুর রহমান বলেন, প্রতিটি প্রকল্পে শুরু থেকে যা ব্যয় দেখানো হয়, সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বহুগুণে এর বাজেট বেড়ে যায়। আমরা এখন ক্রমেই ঝুঁকিপূর্ণ ঋণের দিকে যাচ্ছি। যে কোনো প্রকল্পেই আমাদের ঋণ না নিয়ে এটা নিয়ে বিতর্ক তৈরি করতে হবে। তার ভালো-খারাপ দিক নিয়ে আলোচনা করতে হবে। আমরা মধ্যম আয়ের কথা বলছি, অথচ আমাদের দেশে এখনও ১ কোটি ৪০ লাখ মানুষ দরিদ্র। তাদের উন্নয়নে কাজ করতে হবে। মানুষ দেশের বাইরে যায় কিন্তু রেমিটেন্স কমে যাচ্ছে এ বিষয়টি দেখা প্রয়োজন।
অনুষ্ঠানে বিশ্বব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর চিমিয়াও ফানসহ সংসস্থাটির অন্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৪৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ২, ২০১৮
ইএআর/আরআর