তিনি বাড়ির আঙিনায় গড়ে তুলেছেন পেঁপের বাগান। বাগানটির মাধ্যমে তিনি তার সুপ্ত শখকে একান্ত প্রচেষ্টায় বাস্তবে রূপ দিয়েছেন।
ঢাকার ভেতরে এক টুকরো জমিকে কাজে লাগিয়ে তিনি আর্থিকভাবেও লাভবান হচ্ছেন। তিনি এই বাগানে দেশি, থাই এবং হাইব্রিড জাতের পেঁপে চাষ করেছেন। দুই শতক জমিতে তিনি প্রায় ৩০ থেকে ৪০টি পেঁপে গাছ লাগিয়েছেন। প্রতিটি গাছে বর্তমানে ৯০ থেকে ১০০টি পেঁপে ধরেছে।
নজরুল ইসলামের ছেলে মো. ফেরদৌস নেছার বাংলানিউজকে বলেন, প্রতিটি গাছ থেকে আমরা এবছর কমপক্ষে দুইশ’ পেঁপে আশা করছি। এই বাগান থেকে সব খরচ বাদ দিয়ে প্রতি মাসে কমপক্ষে ১৫-২০ হাজার টাকা আয় হবে বলে আশা করছি।
বাগানের প্রতিটি গাছের বর্তমান বয়স দুই থেকে তিন মাস। দুই মাস বয়স থেকেই এই বাগানে ফলন শুরু হয়েছে। এই বাগান করতে ৩ হাজার টাকা খরচ হয়েছে।
নজরুল ইসলাম প্রতিদিন সকাল-বিকেলে এক ঘণ্টা করে গাছগুলোর যত্ন নেন, এই কাজে তাকে সহায়তা করেন তার দুই ছেলে নাদিমুর রহমান ও ফেরদৌস নেছার।
তিনি বলেন, বেকার যুবকরা চাইলেই স্বল্প পরিসরে, স্বল্প পুঁজিতে বেকারত্ব দূর করতে পারেন চাষ করে। শুধু চাকরি নামক সোনার হরিণের পেছনে না ছুটে তারা প্রশিক্ষণের মাধ্যমে চাষ করে বেকারত্ব থেকে মুক্ত হতে পারেন।
বাংলাদেশ সময়: ২১৫৬ ঘণ্টা, অক্টোবর ০২, ২০১৮
আরআর