বৃহস্পতিবার (৪ অক্টোবর) রাজধানীর মিরপুরে বিআইবিএম অডিটোরিয়ামে ‘কস্টস ফর কমপ্ল্যায়েন্স উইথ রেগুলেশনস ইন ব্যাংকস’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে উপস্থাপিত এক গবেষণা প্রতিবেদনের ভিত্তিতে এসব কথা বলা হয়।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ব্যাংকের কমপ্ল্যায়েন্স পরিপালনের চাপ ও ব্যয় উভয়ই বাড়ছে।
মূল প্রবন্ধে বলা হয়, বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশনা অনুযায়ী বছরে ২৬৩টি রিপোর্ট দিতে হয়। কিন্তু কেন্দ্রীয় ব্যাংকে পাঠানো এ প্রতিবেদনের সঙ্গে বাস্তবতার কোনো মিল নেই। ব্যাংক তার সুবিধার্থে অসত্য তথ্য দেয়। এটি পুরোপুরি বন্ধ করতে হবে। একইসঙ্গে রিপোর্টের সংখ্যা কমিয়ে সমন্বয় সাধন করতে হবে।
গোলটেবিল বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন বিআইবিএমের মহাপরিচালক ড. তৌফিক আহমদ চৌধুরী। তিনি অধিকতর দক্ষতার সঙ্গে ব্যাংকগুলোকে কমপ্ল্যায়েন্স পরিপালনের ওপর গুরুত্বারোপ করেন। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন বিআইবিএমের অধ্যাপক এবং পরিচালক (গবেষণা, উন্নয়ন এবং পরামর্শ) ড. প্রশান্ত কুমার ব্যানার্জী।
গোলটেবিল বৈঠকে গবেষণা প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন বিআইবিএমের সহযোগী অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম।
চার সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল এ গবেষণা সম্পন্ন করেন। গবেষণা দলে অন্যদের মধ্যে ছিলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের মহাব্যবস্থাপক এবং বিআইবিএমের অনুষদ সদস্য মো. আব্দুল কাইউম, বিআইবিএমের সহযোগী অধ্যাপক অতুল চন্দ্র পন্ডিত এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের ব্যাংকিং রেগুলেশন অ্যান্ড পলিসি ডিপার্টমেন্টের উপ-মহাব্যবস্থাপক রুপরতন পাইন।
বিআইবিএমের মহাপরিচালক ড. তৌফিক আহমদ চৌধুরী বলেন, ব্যাংক নিয়ম কানুন মেনে ব্যবসা করে আসছে। অনেকে কমপ্ল্যায়েন্স নিয়ে বক্তব্য দেয় যা সঠিক নয়। কমপ্ল্যায়েন্সের ক্ষেত্রে কোন ছাড় দেওয়া যাবে না।
বৈঠকে আরও বক্তব্য দেন বিআইবিএম এর প্রফেসর এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের সাবেক অধ্যাপক ড. বরকত-এ-খোদা, পূবালী ব্যাংকের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবং বিআইবিএমের সুপারনিউমারারি অধ্যাপক হেলাল আহমদ চৌধুরী, বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক নির্বাহী পরিচালক এবং বিআইবিএমের সুপারনিউমারারি অধ্যাপক মো. ইয়াছিন আলি প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৩৪ ঘণ্টা, অক্টোবর ০৪, ২০১৮
এসই/এএইচ