খুলনা সার্কিট হাউজ মাঠে জেলা প্রশাসন আয়োজিত চতুর্থ জাতীয় উন্নয়ন মেলার দ্বিতীয় দিন শুক্রবার (০৫ অক্টোবর) দর্শনার্থীরা বিভিন্ন দপ্তরের সেবা গ্রহণ করেছেন। একশ’ ৫৬টি স্টলে ভিড় করছেন উৎসাহী মানুষ।
মেলায় আগত আব্দুল্লাহ নামের এক দর্শনার্থী বলেন, এখানে এসে আমরা সরকারি সব দফতরের সংবাদ জানতে পারছি। সেবা নিতে পারছি। এটা খুবই ভালো উদ্যোগ।
ইসলামিক ফাউন্ডেশনের স্টলে থাকছে ২৫ শতাংশ ছাড়ে বই কেনার সুযোগ। কারাবন্দিদের তৈরি চমৎকার পণ্য সম্ভার নিয়ে সাজানো হয়েছে জেলা কারাগারের স্টল। স্বাস্থ্য বিভাগের স্টলে পাওয়া যাচ্ছে রক্তচাপ নির্ণয়, রক্তের গ্রুপ পরীক্ষা ও রক্তের সুগার পরীক্ষার সুযোগ। প্রাথমিক শিক্ষা সমাপণী পরীক্ষার্থীরা জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসের স্টলে এসে সমাপনী পরীক্ষার রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন করতে পারছেন। সঙ্গে রয়েছে উপবৃত্তি সংক্রান্ত সব সেবা। খাদ্য ব্যবসায়ীরা চাইলে জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রণ অফিসের স্টল থেকে লাইসেন্স গ্রহণ ও নবায়ন করতে পারছেন। কর্মী হিসেবে বিদেশে গমনেচ্ছুকরা সহজে রেজিস্ট্রেশন কার্যক্রম সম্পাদন করতে পারছেন জনশক্তি অফিসের স্টল থেকে।
জেলা দপ্তর সমবায় সমিতির সদস্যদের উৎপাদিত পণ্য নিয়ে তাদের স্টল সাজিয়েছে। এর সঙ্গে থাকছে মিল্কভিটার পণ্য প্রদর্শন ও সবার জন্য সলিড মধু কেনার সুযোগ। ব্যবসায়ীরা সরকারকে ভ্যাট দিতে মেলা প্রাঙ্গণে কাস্টমসের স্টলে এসে গ্রহণ করতে পারছেন বিজনেস আইডেন্টিফিকেশন নম্বর (বিআইএন)। মেলায় অনলাইন ও অফলাইন ভূমি সেবার মধ্যে রয়েছে ই-মিউটেশন, ই-ভিপি-নবায়ন, ই-পর্চা, ভূমি উন্নয়ন কর দেওয়ার সুযোগ। মেলায় আগত দর্শনার্থীদের মধ্যে নিরাপদ পানি সরবরাহ করছে খুলনা ওয়াসা ও জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল দপ্তর। মেলায় সঞ্চয়পত্র ক্রয়ের ফরম পূরণ ও জমাদানের সুযোগ রেখেছে জেলা সঞ্চয় অফিস। মেলায় আগত দর্শনার্থীদের জন্য জেলা প্রশাসন স্থাপন করেছে শিশু কর্নার ও সিনিয়র সিটিজেন কর্নার। এছাড়া বেসরকারি সংস্থার স্টলগুলো তাদের আকর্ষণীয় পণ্য ও বর্ণিল উপস্থাপনা নিয়ে মেলায় হাজির হয়েছে।
খুলনা জেলা প্রশাসনের এনডিসি মো. আরাফাতুল আলম বাংলানিউজকে বলেন, মেলার মূল উদ্দেশ্য দেশের চলমান উন্নয়ন সাফল্যকে জনগণের সামনে তুলে ধরে সরকারের উন্নয়ন কাজের সঙ্গে সম্পৃক্ত করা। পাশাপাশি সরকারের ভবিষ্যৎ কর্মপরিকল্পনা ও সহস্রাব্দ উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এমডিজি) অর্জনে সরকারের সাফল্য প্রচার এবং টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) অর্জনে জনগণকে উদ্বুদ্ধ করা।
তিনি জানান, মেলায় শুক্রবার ছুটির দিন হওয়ায় উপচেপড়া ভিড় ছিলো। জেলা প্রশাসনের প্যাভিলিয়নে বঙ্গবন্ধু কর্নার, মুক্তিযুদ্ধ কর্নার, পুনর্বাসিত কর্নার, শিশু কর্নারে বিভিন্ন বয়স ও শ্রেণী-পেশার মানুষের ভিড় ছিলো বেশি। বাংলাদেশ নৌবাহিনী, খুলনা শিপইয়ার্ড, ওজোপাটিকো, মোংলা বন্দর, সড়ক ও জনপদ বিভাগ নান্দনিকভাবে স্টল সাজিয়েছে। মানুষ ডিজিটাল সেবা নিতে এসব স্টলগুলোতে ভিড় করেছেন।
বাংলাদেশ সময়: ২০০৮ ঘণ্টা, অক্টোবর ০৫, ২০১৮
এমআরএম/জেডএস