বৃহস্পতিবার (১১ অক্টোবর) শেরে বাংলানগরের এনইসি সম্মেলনে কক্ষে একনেক সভা শেষে এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী একথা জানান।
নির্বাচনের আগে প্রকল্প অনুমোদনের হিড়িক প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, আমি পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে গেছি।
একনেকে উপস্থাপিত মোট ১৭টি (নতুন ও সংশোধিত) প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে ১৪ হাজার ২০০ কোটি ৫৯ লাখ টাকা। এর মধ্যে জিওবি ১১ হাজার ১৯৩ কোটি ৬৯ লাখ টাকা, সংস্থার নিজস্ব তহবিল ২ হাজার ৮১১ কোটি ৬২ লাখ টাকা এবং বৈদেশিক প্রকল্প সাহায্য ১৯৫ কোটি ২৮ লাখ টাকা।
পরিকল্পনামন্ত্রী সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, গত মঙ্গলবার জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক) অনুমোদন দিয়েছে ২০টি উন্নয়ন প্রকল্প। দু’দিন পরই আরো উন্নয়ন প্রকল্প অনুমোদন দেওয়া হলো। নির্বাচনের সময় সাধারণত বেসরকারি বিনিয়োগকারীরা বিনিয়োগ করেন না। এ সময় সরকারি বিনিয়োগ বাড়ানো প্রয়োজন। তাছাড়া আমরা উন্নয়নের মাধ্যমে এমন পথ তৈরি করতে চাই যাতে বেসরকারি বিনিয়োগকারীরা ওই পথেই হাঁটতে পারেন।
পরিবেশ তৈরি ও অবকাঠামো উন্নয়নের মাধ্যমে তাদের বিনিয়োগ করতে উৎসাহ দেওয়া হবে। উন্নয়নের গতি থামানো যাবে না। নির্বাচন চলবে, আবার উন্নয়নও হবে। কোনোটির জন্য কোনোটি স্থগিত করা ঠিক নয়। উন্নয়ন অব্যাহত রাখতেই ঘন ঘন একনেক বৈঠকের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। বিশ্বের উন্নত দেশে নির্বাচনের দিন ছুটিও ঘোষণা করা হয় না। সবাই ভোট দিয়ে অফিসে চলে যান। সেখানে তো কোনো সমস্যা হয় না, যোগ করেন মুস্তফা কামাল।
একনেকের অন্যান্য প্রকল্পগুলো হলো- ঢাকা সিটি কর্পোরেশনের পরিচ্ছন্নতা কর্মী নিবাস নির্মাণ প্রকল্প, রাজশাহী ওয়াসার ভূ-উপরিস্থ পানি শোধনাগার নির্মাণ প্রকল্প, চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের বিভিন্ন ওয়ার্ডে সড়ক নেটওয়ার্ক উন্নয়ন এবং বাস/ট্রাক টার্মিনাল তৈরি প্রকল্প, ফরিদপুর-ভাঙ্গা-বরিশাল-পটুয়াখালী-কুয়াকাটা জাতীয় মহাসড়ক চার লেনে উন্নীতকরণের জন্য ভূমি অধিগ্রহণ প্রকল্প, বৈরাগীরপুল (বরিশাল) টুমচর-বাউফল (পটুয়াখালী) জেলা মহাসড়ক যথাযথ মান ও প্রশস্ততায় উন্নীতকরণ প্রকল্প, ব্যবসা-বাণিজ্য সম্প্রসারণের নিমিত্তে নন্দীগ্রাম-তালোড়া-দুঁপচাচিয়া-জিয়ানগর-আক্কেলপুর জেলা মহাসড়ক এবং নন্দীগ্রাম-কালীগঞ্জ-রানীনগর জেলা মহাসড়ক যথাযথ মান ও প্রশস্ততায় উন্নীতকরণ প্রকল্প, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় চত্বরে একটি বহুতল অফিস ভবন নির্মাণ প্রকল্প, বিদ্যুৎ বিতরণ ব্যবস্থার উন্নয়ন- চট্টগ্রাম জোন (দ্বিতীয় পর্যায়) প্রকল্প, মোল্লাহাটে ১০০ মেগাওয়াট সোলার পিভি পাওয়ার প্লান্ট তৈরি প্রকল্প।
যশোর অঞ্চলের গ্রামীণ অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্প, খুলনা-বাগেরহাট ও সাতক্ষীরা জেলার পল্লী অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্প, গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ায় বঙ্গবন্ধু দারিদ্র্য বিমোচন প্রশিক্ষণ কমপ্লেক্স সম্প্রসারণ, সংস্কার ও আধুনিকায়ন প্রকল্প (তৃতীয় সংশোধিত) প্রকল্প, পরিবেশবান্ধব কৌশলের মাধ্যমে নিরাপদ ফসল উৎপাদন প্রকল্প, বৃহত্তর ঢাকা জেলা সেচ উন্নয়ন প্রকল্প (তৃতীয় পর্যায়) প্রকল্প, রংপুর জেলার মিঠাপুকুর-পীরগাছা-পীরগঞ্জ ও রংপুর সদর উপজেলায় যমুনেশ্বরী প্রকল্প, উপকূলীয় চরাঞ্চলে সমন্বিত প্রাণিসম্পদ উন্নয়ন এবং দ্য প্রজেক্ট ফর দ্য ইমপ্রুভমেন্ট অব রেসকিউ ক্যাপাসিটিস ইন দ্য কোস্টাল অ্যান্ড ইনল্যান্ড ওয়াটারস প্রকল্পের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে একনেক সভায়।
বাংলাদেশ সময়: ১৯০৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ১১, ২০১৮
এমআইএস/এমজেএফ