ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

বেড়েছে সবজি ও মাছের দাম, মুরগির বাজারে স্বস্তি

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩৪৭ ঘণ্টা, অক্টোবর ১২, ২০১৮
বেড়েছে সবজি ও মাছের দাম, মুরগির বাজারে স্বস্তি মাছের বাজার। ছবি: বাংলানিউজ

ঢাকা: শীতের শুরুতে বাজারে পর্যাপ্ত সরবরাহ থাকলেও বেড়েছে সব ধরনের সবজির দাম। পাশাপাশি ইলিশ উৎপাদনের লক্ষ্য পূরণে প্রজননকালে ইলিশ ধরা ও বিক্রি নিষিদ্ধ করায় বেড়েছে মাছের দামও। তবে স্থিতিশীল রয়েছে মুরগি ও ডিমের বাজার। অন্যদিকে অপরিবর্তিত রয়েছে চাল, ডাক, মসলা ও তেলের দাম।

শুক্রবার (১২ অক্টোবর) রাজধানীর মালিবাগ, শান্তিনগর, সেগুন বাগিচা ও টিঅ্যান্ডটি কাঁচাবাজার বাজার ঘুরে এ চিত্র দেখা যায়।

ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, ইলিশ ধরা ও বিক্রি নিষিদ্ধ করায় বেড়েছে মাছের দাম।

তবে মুরগি ও ডিমের বাজার স্থিতিশীল রয়েছে। অপরিবর্তিত রয়েছে চাল, ডাল, মসলা ও তেলের দাম।

বাজারে দেখা যায়, প্রতি কেজি শসা বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৯০ টাকা, ঢ্যাঁড়স ৪০ থেকে ৫০ টাকায়, বেগুন ৬০ থেকে ৭০ টাকা, কচুর ছড়া ৫০ থেকে ৬০ টাকা, গাজর ৮০ থেকে ১০০ টাকা, ঝিঙে ৫০ থেকে ৬০ টাকা, টমেটো ৮০ থেকে ১০০ টাকা, সিম ১২০ থেকে ১৪০ টাকা, করলা ৪০ থেকে ৫০ টাকা, কাঁকরোল ৪৫ থেকে ৬০ টাকা, লাউ প্রতিপিস ৪০ থেকে ৬০ টাকা, জালি কুমড়া প্রতিপিস ৩০ থেকে ৫০ টাকা, বাঁধা কপি প্রতিপিস ৫০ থেকে ৬০ টাকা, ফুলকপি প্রতিপিস ৬০ থেকে ৭০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

বাড়তি দামে বিক্রি হচ্ছে বিভিন্ন শাক। কলমি শাক প্রতি আঁটি ৭ থেকে ১০ টাকা, লাল শাক ১০ থেকে ১৫ টাকা, লাউ শাক ৩০ থেকে ৪০ টাকা, পালং শাক ২৫ টাকা থেকে ৩০ টাকায় বিক্রি করতে দেখা গেছে।

বাজারে পর্যাপ্ত সবজির সরবরাহ থাকলেও বাড়তি দাম কেন? এমন প্রশ্নের জবাবে শান্তিনগর বাজারের সবজি বিক্রেতা হাসান আলী বাংলানিউজকে বলেন, কাঁচামালের বাজার একদিনের ব্যবধানে দিগুন হয়ে যায়। বৃহস্পতিবার (১১ অক্টোবর) চেয়ে শুক্রবার বাজারে তুলনামূলক কাঁচা পণ্য কম আসায় দাম একটু বেড়েছে। তাছাড়া সারা দেশে বৃষ্টি হওয়ায় শাকসবজির দাম বেড়েছে।
সবজির বাজার।  ছবি: বাংলানিউজবাজারে কথা হয় আনোয়ারা বেগম নামে এক ক্রেতার সঙ্গে। তিনি বাংলানিউজকে বলেন, বাজারে এখন সব ধরনের সবজিতে থাকলেও দাম কমছে না। সব বিক্রেতা একই দামে সবজি বিক্রি করছেন। পর্যাপ্ত সবজি থাকা সত্ত্বেও ব্যবসায়ীদের সিন্ডিকেটের কারণেই দাম বাড়ছে। যত সমস্যা আমাদের সাধারণ ক্রেতাদের।

এসব বাজারে মাছের দামও বেশ চড়া। প্রতিকেজি রুই মাছ ২২০ টাকা থেকে ৩৫০ টাকা, তেলাপিয়া ১৫০ থেকে ১৮০ টাকা, পাঙ্গাস ১৫০ থেকে ১৮০ টাকা, পাবদা ৫০০ থেকে ১ হাজার টাকা, শিং ৫০০ থেকে ৮০০ টাকা, চিংড়ি হরিণা ৫৫০ থেকে ৭০০ টাকা, বাগদা ৫৫০ থেকে ৮০০ টাকা, গলদা ৭০০ থেকে ১৫০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

তবে কিছুটা নিম্নমুখী ডিম ও মুরগির বাজার। প্রতি ডজন হাঁসের ডিম ১৫০ থেকে ১৬০ টাকা, দেশি মুরগির ডিম ১৬০ টাকা, বয়লার মুরগির ডিম ১০৫ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। প্রতিকেজি বয়লার মুরগি ১৩০ থেকে ১৪০ টাকা, লেয়ার ২০০ থেকে ২৪০ টাকা, পাকিস্তানি কক প্রতি হালি (৩০০ গ্রাম ওজন) ৬০০ থেকে ৭৫০ টাকা। তবে অপরিবর্তিত রয়েছে গরু মাংসের দাম। প্রতিকেজি গরুর মাংস ৫০০ টাকা ও খাসির মাংস ৮০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

অপরিবর্তিত রয়েছে চাল, ডাল, মসলা ও তেলের দাম। প্রতিকেজি মসুর ডাল (দেশি) ১০০ টাকা, মোটা ৭০ টাকা, মুগ ডাল ১২০ টাকা, ভোজ্যতেল প্রতি লিটার খোলা ৯০ টাকা, বোতল ১০৮ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আদা ১০০ থেকে ১২০ টাকা, রসুন (ইন্ডিয়ান) ৭০ টাকা, দেশি ৬০ টাকা, পিয়াজ (দেশি) ৪৫ থেকে ৫০ টাকা, পিয়াজ (ইন্ডিয়ান) ৩০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করতে দেখা গেছে।

বাংলাদেশ সময়: ০৯৪০ ঘণ্টা, অক্টোবর ১২, ২০১৮
ইএআর/ওএইচ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।