২০১৮ সালের দ্বিতীয় প্রান্তিকে (এপ্রিল-জুন) ব্যাংকগুলোর মোট ৬শ কোটি ৪৫ লাখ টাকার ঋণ অবলোপন করেছে। যা আগের প্রান্তিকের চেয়ে ৪ দশমিক ৩৬ শতাংশ বেশি।
২০০৩ সাল থেকে চলতি বছরের মার্চ পর্যন্ত ৪৮ হাজার ৮৯০ কোটি টাকার ঋণ অবলোপন করা হয়েছে। জুন শেষে মোট অবলোপনের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৪৯ হাজার ৪৯০ কোটি ৪৫ লাখ টাকা।
অর্থনীতিবিদ এ বি মির্জা আজিজুল ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, আদালতের মাধ্যমে দ্রুত অর্থ ঋণ মামলা নিষ্পত্তি করে খেলাপি ঋণ আদায়ের ব্যবস্থা করতে হবে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জুন প্রান্তিকে ১৪টি ব্যাংক ঋণ অবলোপন করেছে। এর মধ্যে বেসরকারি খাতের ডাচ-বাংলা ব্যাংক লিমিটেড অবলোপন করেছে ১৭২ কোটি টাকা, ইস্টার্ন ব্যাংক লিমিটেড ১১১ কোটি টাকা, প্রাইম ব্যাংক লিমিটেড ১০২ কোটি টাকা ও আইএফআইসি ব্যাংক লিমিটেড ৮৯ কোটি টাকার ঋণ করেছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, চলতি বছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে সরকারি মালিকানাধীন ব্যাংকগুলো ১ কোটি ২৬ লাখ টাকা ঋণ অবলোপন করেছে। আর বেসরকারি ব্যাংক করেছে ৫৯৯ কোটি ১৯ লাখ টাকা। একই সময়ে রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন বিশেষায়িত দুটি ব্যাংক কোন ঋণ অবলোপন করেনি।
রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন ব্যাংকগুলোর অধিকাংশ খেলাপি ঋণ অবলোপন করা হয়েছে। কারণ খেলাপি ঋণের বিপরীতে তাদের নিরাপত্তা সঞ্চিত রাখার মতো টাকা নেই এসব ব্যাংকের কাছে। অধিকাংশ ব্যাংক মূলধন সংকটের কারণে বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছ থেকে টাকা নিয়ে চলছে। তাই খেলাপি না দেখিয়ে অবলোপন করে নিরাপত্তা সঞ্চিত রাখার দায়মুক্ত হয়েছে।
চলতি বছরের এপ্রিল-জুন প্রান্তিকে ব্যাংকিং খাতে খেলাপি ঋণ বেড়েছে ১৫ হাজার ৩৭ কোটি টাকা। একই সময় পর্যন্ত ব্যাংকিং খাতে মোট খেলাপি ঋণের পরিমাণ ৮৯ হাজার ৩৪০ কোটি টাকা দাঁড়িয়েছে। অবলোপন ও খেলাপি ঋণ মিলে দাঁড়িয়েছে মোট ১ কোটি ২৬ লাখ কোটি টাকা।
বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র নির্বাহী পরিচালক সিরাজুল ইসলাম বলেন, খেলাপি ঋণ আদায়ে ব্যাংকগুলো কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পক্ষ থেকে সব সময় নানা রকম তাগিদ ও পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬২২ ঘণ্টা, অক্টোবর ২১, ২০১৮
এসই/এমএ