শুক্রবার (২৬ অক্টোবর) রাজধানীর ফার্মগেট, কারওয়ান বাজার, হাতিরপুল ও নিউমার্কেট বাজার ঘুরে দেখা গেছে, দাম কিছুটা বেশি হলেও বাজারে পাওয়া যাচ্ছে পালং শাক, লাল শাক, সরিষা শাকসহ বেগুন, মুলা, লাউ, শিম, টমেটো, গাজর, বাঁধাকপি, ফুলকপিসহ বিভিন্ন শীতকালীন সবজি।
দাম একটু বেশি হলেও বেশ স্বাচ্ছন্দ্য নিয়েই এগুলো কিনছেন সবাই।
বাজারে শাকের দাম কিছুটা কমেছে। কলমি শাক প্রতি আটি ৫ থেকে ৭ টাকা, লাল শাক ৭ থেকে ১০ টাকা, লাউ শাক ২৫ থেকে ৩৫ টাকা ও পালং শাক ২৫ টাকায় বিক্রি করতে দেখা গেছে। কাঁচাবাজারে পর্যাপ্ত সবজি থাকলেও বাড়তি দামের বিষয়ে কারওয়ান বাজারের খুচরা সবজি বিক্রেতা আহাম্মদ হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, কাঁচামালের বাজার দর বোঝা যায় না। বৃহস্পতিবার (২৫ অক্টোবর) দাম কম ছিল। আজ তুলনামূলক কম মাল বাজারে এসেছে, তাই দাম একটু বেশি।
বাংলানিউজকে ব্যবসায়ী মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, এখন শীতের আগাম চাষের শাক পরিমাণে কম, এজন্য একটু বাড়তি দামে বিক্রি হচ্ছে। চাহিদার উপযোগী সরবরাহ আসতে আরও অন্তত ১৫ দিনের মতো সময় লাগবে।
শুক্রবার বাজারে প্রতি কেজি কাঁচামরিচ ১৪০ থেকে ১৬০ টাকায় বিক্রি হয়। যা গত সপ্তাহে ছিল মাত্র ১০০ থেকে ১২০ টাকা। এছাড়া প্রতি কেজি আমদানি করা পেঁয়াজে ৫ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ৩৫ থেকে ৪৫ টাকা। দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৫৫ থেকে ৬০ টাকায়। যা গত সপ্তাহে ছিল ৪৫ থেকে ৫৫ টাকা।
সরকারের বিপণন সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) হিসেবেই দাম বাড়ার এ চিত্র তুলে ধরা হয়েছে।
এদিকে, স্বল্প আয়ের মানুষের জন্য স্বস্তির লক্ষ্য চাষের পাঙ্গাস, কৈ, তেলাপিয়া। যার দাম মোটামুটি সস্তা রয়েছে। বাজারে বিভিন্ন ধরনের মাছের মধ্যে চাষের পাঙ্গাস ১৪০ থেকে ১৭০ টাকা, কৈ ১৫০ থেকে ২০০ টাকা, তেলাপিয়া ১৪০ থেকে ১৬০ টাকা, ট্যাংরা ৪০০ থেকে ৬০০ টাকা, শিং ৫০০ থেকে ৬০০ টাকা, পাবদা ৪০০ থেকে ৬০০ টাকা, চিংড়ি ৫০০ থেকে ৮০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
আর ৫ টাকা করে বেড়ে প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ১৩০ থেকে ১৩৫ টাকায়। সঙ্গে প্রতি কেজি গরুর মাংস ৪৮০ থেকে ৫০০ টাকা, খাসির মাংস ৭০০ থেকে ৭৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
বাংলাদেশ সময়: ২১২৪ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৬, ২০১৮
এইচএমএস/টিএ