ঢাকা, শনিবার, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১, ২৭ জুলাই ২০২৪, ২০ মহররম ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

বেনাপোল বন্দরে অধিগ্রহণকৃত জমির চেক হস্তান্তর

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১৩৬ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৭, ২০১৮
বেনাপোল বন্দরে অধিগ্রহণকৃত জমির চেক হস্তান্তর বেনাপোল স্থলবন্দর অডিটোরিয়ামে আলোচনা সভা

বেনাপোল (যশোর):  বেনাপোল বন্দরের অবকাঠামো উন্নয়নে অধিগ্রহণকৃত ২৫ একর জমির মূল্য বাবদ ২৮ জন মালিকের মধ্যে ১৫ জনকে ১০ কোটি টাকার চেক হস্তান্তর করা হয়েছে।

শনিবার (২৭ অক্টোবর) বিকেল ৪টায় বেনাপোল স্থলবন্দর অডিটোরিয়ামে এক আলোচনা সভায় বাংলাদেশ স্থলবন্দরের চেয়ারম্যান তপন কুমার চক্রবর্তী চেক হস্তান্তর করেন।

চেক হস্তান্তর অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, ল্যান্ড পোর্ট অথরিটি অব ইন্ডিয়ার চেয়ারম্যান অনিক কুমার বাম্বা, যশোর জেলা প্রশাসক মো. আব্দুল আওয়াল, বেনাপোল বন্দর পরিচালক (ট্রাফিক) প্রদোষ কান্তি দাস, কাস্টমস সহকারী কমিশনার জাকির হোসেন, বাংলাদেশ স্থলবন্দরের খণ্ডকালীন সদস্য জাহিদ হোসেন, বাংলাদেশ স্থলবন্দর চেয়ারম্যানের একান্ত সচিব কবির খান, স্থলবন্দর ইমপ্লোয়েজ ইউনিয়নের সভাপতি জাবেদী বিল্লাহ, সেক্রেটারি জামাল উদ্দীন জীবন ও সহসভাপতি মনির মজুমদার প্রমুখ।

বেনাপোল বন্দর থেকে ভারতের বাণিজ্যিক শহর কলকাতার দূরত্ব মাত্র ৮৩ কিলোমিটার। যোগাযোগ ব্যবস্থা সহজ হওয়ায় বেনাপোল-পেট্রাপোল বন্দর দিয়ে প্রথম থেকেই ব্যবসায়ীদের বাণিজ্যে আগ্রহ বেশি। কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে বেনাপোল বন্দরে জায়গা সংকটে মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছিলো বাণিজ্য।  

বর্তমানে বেনাপোল বন্দরের ধারণ ক্ষমতা ৩৮ হাজার মে. টন।  কিন্তু এখানে সব সময় আমদানি, রফতানি পণ্য থাকে প্রায় দেড় লাখ মে. টন। বন্দরে জায়গা সংকটে যেমন ব্যাহত হচ্ছিল বাণিজ্য তেমনি পণ্যজটের কারণে যানজটে প্রায়ই ভোগান্তিতে পড়তে হয় পথচারীদের।  

অবকাঠামোগত উন্নয়ন সমস্যায় এ বন্দর ছেড়েছেন অনেক ব্যবসায়ীরা। ফলে গত অর্থ বছরে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের দেওয়া লক্ষ্য মাত্রার চেয়ে ১৮৩ কোটি টাকা রাজস্ব আয়ে ঘাটতি হয়েছে। নতুন করে এ জায়গা অধিগ্রহণে এসব সমস্যার অনেকাংশে সমাধান হবে বলে মনে করছেন সংশিষ্টরা।

বাংলাদেশ সময়: ১৭৩৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৭, ২০১৮
এজেডএইচ/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।