ঢাকা, রবিবার, ১৭ ভাদ্র ১৪৩১, ০১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২৬ সফর ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

শ্রমিকদের ‘কর্মবিরতি’র কবলে কাঁচাবাজার

ইয়াসির আরাফাত রিপন, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮১৬ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৮, ২০১৮
শ্রমিকদের ‘কর্মবিরতি’র কবলে কাঁচাবাজার

ঢাকা: বাজারে পর্যাপ্ত সবজির সরবরাহ থাকলেও নানা অজুহাতে প্রতিনিয়ত বেড়ে চলেছে এর দাম। এবার বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের ‘কর্মবিরতি’র দোহাই দিয়ে শাক, সবজি ও মাছের দাম বাড়িয়ে দিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। তবে অপরিবর্তিত রয়েছে চাল, ডাল, মসলা, তেলসহ নিত্যপণ্যের দাম। 

রোববার (২৮ অক্টোবর) রাজধানীর মালিবাগ, খিলগাঁও, টিঅ্যান্ডটি কাঁচাবাজার, শান্তিনগর ও সেগুনবাগিচা বাজার ঘুরে এ চিত্র দেখা গেছে।

এসব বাজারে প্রতিকেজি টমেটো ৯০ থেকে ১০০ টাকা,  কাঁচা টমেটো ১০০ থেকে ১২০ টাকা।

দুই দিন আগেও প্রতিকেজি টমেটো ১০-১৫ টাকা কমে বিক্রি হয়েছে বলে জানাচ্ছেন ক্রেতারা।

এছাড়া কেজিতে ১০ টাকা বেড়ে প্রতিকেজি গাজর ৭০ থেকে ৯০ টাকা, শিম ১৪০ টাকা থেকে ১৬০ টাকা, শসা ৭০ থেকে ৮০ টাকায়, ঢেঁড়স ৪৫ থেকে ৬০ টাকা, মুলা ৫০ থেকে ৬০ টাকা, বেগুন ৫০ থেকে ১০০ টাকা, কচুর লতি ৬০ টাকা, ঝিঙা ৫০ থেকে ৬০ টাকা, করলা ৫০ থেকে ৬০ টাকা, কাকরোল ৫০ থেকে ৬০ টাকায় বিক্রি করতে দেখা গেছে।

৫ থেকে ১০ টাকা পর্যন্ত দাম বেড়েছে কপি, লাউ ও কুমড়ার জালির। প্রতি পিস বাঁধাকপি বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকা থেকে ৫০ টাকা, ফুলকপি ৪৫ থেকে ৬০ টাকা, লাউ ৪০ থেকে ৬০ টাকা, জালি কুমড়া ৩০ থেকে ৪০ টাকায়।

দুই দদিনের ব্যবধানে ৩ থেকে ৫ টাকা বাড়তি দামে বিক্রি করতে দেখা গেছে বিভিন্ন শাক। এসব বাজারে প্রতি আঁটি কলমি শাক ১০ টাকা, লাল শাক ১০ টাকা, লাউ শাক ৩৫ থেকে ৪০ টাকা, পালং শাক ২৫ থেকে ৩০ টাকা, পুঁই শাক ২৫ থেকে ৩০ টাকায় বিক্রি করতে দেখা গেছে।

টিঅ্যান্ডটি কাঁচাবাজারের সবজি বিক্রেতা আহমেদ বাংলানিউজকে বলেন, অবরোধের কারণে পাইকারি বাজারে সবজি সরবরাহ কম। সেখানে মালামাল কম থাকায় আমাদের বাড়তি দামে কিনতে হয়েছে। তাই কিছুটা দাম বেশি। তবে পরিবহন কর্মবিরতি শেষ হলে সবজির দামও কমবে বলে জানান তিনি।

তবে ক্রেতা আয়েশা খাতুন বলেন, পরিবহন কর্মবিরতি সমস্যা নয়। প্রধান সমস্যা তৈরি ব্যবসায়ীদের কাছ থেকেই। সবজির পরিবহনগুলো সড়কে চলছে, তাহলে কেনো দাম বাড়বে? কোনো অজুহাত পেলেই ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট এর সুযোগ কাজে লাগায়।

এসব বাজারে প্রতিকেজি মাছ ভেদে কেজিতে দাম বেড়েছে ৫০ টাকা থেকে ১০০ টাকা পর্যন্ত। ট্যাংরা মাছ ৫০০ থেকে ৮০০ টাকা, শিং ৫০০ থেকে ৮০০ টাকা, দেশি মাগুর ৬০০ থেকে ৮০০ টাকা, পাবদা ৪৫০ থেকে ৬০০ টাকা, চিংড়ি ৫০০ থেকে ১৪০০ টাকা, পাঙ্গাস ১৪০ থেকে ১৭০ টাকা, কৈ ২০০ থেকে ২৫০ টাকা, তেলাপিয়া ১৫০ থেকে ১৮০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

অন্যদিকে প্রতিকেজি ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ১৪০ থেকে ১৫০ টাকা, লেয়ার ২৪০ থেকে ২৬০ টাকা, গরুর মাংস ৪৮০ থেকে ৫০০ টাকা, খাসির মাংস ৭৮০ থেকে ৮০০ টাকা কেজি দরে।

অপরিবর্তিত রয়েছে ডাল, তেল ও মসলার দাম। প্রতিকেজি মিনিকেট সিরাজ চাল ৬৫ টাকা, মিনিকেট ৬২ টাকায় বিক্রি করতে দেখা গেছে। প্রতিকেজি মসুর ডাল (দেশি) ১০০ টাকা, মোটা ৭০ টাকা, মুগ ডাল ১২০ টাকা, ভোজ্যতেল প্রতি লিটার খোলা ৯০ টাকা, বোতল ১০৮ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

আর প্রতিকেজি আদা ১০০ থেকে ১২০ টাকা, রসুন ইন্ডিয়ান ৭০ টাকা, দেশি ৬০ টাকা, পিয়াজ (দেশি) ৪৫ থেকে ৫০ টাকা, পিয়াজ (ইন্ডিয়ান) ৩০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করতে দেখা গেছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৩৫৭ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৮, ২০১৮
ইএআর/এইচএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।