কর্মবিরতির কারণে রোববার (২৮ অক্টোবর) সকাল ছয়টা থেকে সোমবার সকাল ছয়টা পর্যন্ত যানবাহন পারাপার হয়েছে চার হাজার ৮৭৮টি। এতে করে টোল আদায় হয়েছে মাত্র ৩৫ লাখ টাকা।
বঙ্গবন্ধু সেতু কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, পরিবহন শ্রমিকদের ডাকা কর্মবিরতির কারণে বাস-ট্রাক, লরি, পিকআপভ্যানসহ বিভিন্ন যানবাহন বন্ধ থাকায় কোনো যানবাহন সেতু পারাপার হতে পারছে না। আর কর্মবিরতির কারণে মোটরসাইকেল ও ব্যক্তিগত যানবাহন পারাপার হচ্ছে। বিভিন্ন স্থানে শ্রমিকরা ব্যক্তিগত যানবাহনে হামলার কারণে ভয়ে ব্যক্তিগত যানবাহনও মহাসড়কে কম চলাচল করছে। এতে রোববার সকাল ছয়টা থেকে সোমবার সকাল ছয়টা পর্যন্ত যানবাহন পারাপার হয়েছে মাত্র চার হাজার ৮৭৮টি। অন্যদিন এর সংখ্যা থাকে প্রায় ১৬ হাজার।
এদিকে ৪৮ ঘণ্টা কর্মবিরতির কারণে টাঙ্গাইলে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন সাধারণ যাত্রীরা। ঢাকা-টাঙ্গাইল-বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়কে রোববার সকাল ৬টা থেকেই টাঙ্গাইলের সঙ্গে সারাদেশের বাস যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে।
বাস না চলায় যাত্রীদের ভোগান্তিকে কাজে লাগিয়ে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করছে অটোরিকশা ও লেগুনা চালকরা। এদিকে মহাসড়কে বাস চলাচল না করায় যাত্রীরা ভিড় করছেন রেল স্টেশনে।
এ বিষয়ে জেলা বাস-কোচ-মিনিবাস শ্রমিক সমিতির সভাপতি খন্দকার আহসানুল পিন্টু বাংলানিউজকে জানান, টাঙ্গাইলে রোববার সকাল ছয়টা থেকে ৪৮ ঘণ্টার কর্মবিরতি শুরু হয়েছে। সরকার দাবি না মেনে নিলে কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্ত অনুযায়ী পরবর্তী কর্মসূচি দেওয়া হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬২৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৯, ২০১৮
আরএ