সোমবার (২৯ অক্টোবর) বাংলাদেশ ব্যাংকের সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের সভায় নতুন এই ব্যাংকের কার্যক্রম পরিচালনার অনুমোদন দেওয়া হয়।
সভা শেষে সাংবাদিকদের একথা জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক সিরাজুল ইসলাম।
পর্ষদ সভায় আরও তিনটি ব্যাংক অনুমোদনের প্রস্তাব থাকলেও তা আগামি পর্ষদ সভার উথাপন করা হবে বলেও সিরাজুল ইসলাম সাংবাদিকদের জানান।
সাংবাদিকদের তিনি বলেন, বাকি তিনটি ব্যাংকের অনুমোদনে শর্ত সাপেক্ষে নীতিগত সায় দেওয়া হয়েছে। যা পরবর্তী পর্ষদ সভায় চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়া হবে।
যে তিনটি ব্যাংকের চুড়ান্ত অনুমোদন দেওয়া হয়নি সেগুলো হলো; ‘বেঙ্গল কমার্শিয়াল ব্যাংক লিমিটেড’, ‘পিপলস ব্যাংক লিমিটেড’ ও ‘সিটিজেন ব্যাংক লিমিটেড’।
পুলিশের উদ্যোগে প্রতিষ্ঠিত ব্যাংকের অনুমোদন দেওয়ার পর দেশে সরকারি-বেসরকারি মিলে ব্যাংকের সংখ্যা দাড়ালো ৫৯ টিতে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, পুলিশের উদ্যোগে ‘কমিউনিটি ব্যাংক বাংলাদেশ’ চালু করার প্রস্তাব করেছে বাংলাদেশ পুলিশ কল্যাণ ট্রাস্ট (বিপিডব্লিউটি)। অপর তিন ব্যাংকের পৃষ্ঠপোষকদের সঙ্গে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের ব্যবসায়ী উদ্যোক্তারা রয়েছেন। এরমধ্যে ‘বেঙ্গল কমার্শিয়াল ব্যাংক’ চালুর উদ্যোগ নিয়েছে দেশীয় প্লাস্টিক পণ্য প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠান বেঙ্গল গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজ।
প্রস্তাবিত ‘পিপলস ব্যাংক’ ব্যাংকের চেয়ারম্যান হলেন যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী আওয়ামী লীগ নেতা এমএ কাশেম। আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের মা জাহানারা হক ‘সিটিজেন ব্যাংক’র চেয়ারম্যান হিসেবে রয়েছেন।
এ তিনটি ব্যাংকের চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়া হলে সব মিলিয়ে দেশে ব্যাংকের সংখ্যা দাঁড়াবে ৬২তে।
সিরাজুল ইসলাম বলেন, পর্ষদ সভায় ৪টি ব্যাংকের প্রস্তাব তোলা হয়। একটি ব্যাংকের চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে। বাকি তিনটি শর্ত সাপেক্ষে অনুমোদনের সিদ্ধান্ত হয়েছে। তাদের প্রস্তাবে ও নথিপত্রে কিছু ঘাটতি ও ক্রটি রয়েছে। সেগুলো সংশোধন করে দিলেই পর্ষদ অনুমোদন দেবে।
তিনি বলেন, বেঙ্গল কমার্শিয়াল ব্যাংকের উদ্যোক্তা পরিচালক তিনজনের বিষয়ে উচ্চ আদালতে কর সংক্রান্ত মামলা চলছে। সেগুলো নিষ্পত্তি করে আমাদের জানালে পর্ষদ সেটির অনুমোদন দেবে। এ ব্যাংক চালুর উদ্যোগ নিয়েছে ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআই এর সাবেক জ্যেষ্ঠ সহ সভাপতি জসীম উদ্দিন। তিনি বেঙ্গল গ্রুপের ভাইস চেয়ারম্যান। তার ভাই আওয়াম লীগের সংসদ সদস্য মোর্শেদ খান।
প্রস্তাবিত পিপলস ব্যাংকের চেয়ারম্যান হলেন যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী আওয়ামী লীগ নেতা এমএ কাশেম। এ ব্যাংকের উদ্যোক্তা এম এ কাশেমের বিদেশে কি পরিমাণ সম্পত্তি রয়েছে তা আমাদের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে জমা দিতে হবে। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সেটি বাংলাদেশ ব্যাংকে পাঠালে তা পর্ষদে উপস্থাপন করা হবে। পর্ষদ সেটি বিবেচনা করে ব্যাংক স্থাপনের আগ্রহপত্র (লেটার অব ইনট্যান্ট) দেবে।
সিরাজুল ইসলাম বলেন, সিটিজেন ব্যাংকের প্রস্তাবে কিছু ঘাটতি রয়েছে। সেগুলা ঠিক-ঠাক করে উপস্থাপন করতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ২০৪৯ ঘণ্টা, অক্টোবর: ২৯, ২০১৮
এসই/এসএইচ