অন্যদিকে, তিন থেকে পাঁচ টাকা পর্যন্ত কমেছে শাকের দাম। কম দামে সবজি কিনতে পেরে স্বস্তি প্রকাশ করেছেন ক্রেতারা।
শুক্রবার (০২ নভেম্বর) রাজধানীর মালিবাগ, খিলগাঁও, মতিঝিল টি অ্যান্ড টি বাজার ও শান্তিনগর বাজার ঘুরে এ তথ্য মিলেছে।
গত তিনদিন আগে পরিবহন শ্রমিকদের কর্মবিরতির দোহাই দিয়ে এসব বাজারে বাড়তি দামে বিক্রি হয়েছে সব ধরনের সবজি ও শাক।
শুক্রবার প্রতিকেজি টমেটো ৮০ টাকা, কাঁচা টমেটো ৭০ থেকে ৮০ টাকায়। গত তিনদিন আগে এসব বাজারে প্রতিকেজি টমেটো বিক্রি হয়েছে ৯০ থেকে ১০০ টাকা দরে। প্রতিকেজি শিমে ৬০ টাকা কমে বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৬০ টাকা কেজি দরে। কেজিতে ৩০ টাকা কমে ৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে শসা।
কেজিতে ১০ থেকে ২০ টাকা কমেছে গাজর, ঢেঁড়স, বেগুন, কচুরলতি, ছড়া, মূলা, কাকরোল, করলার।
এসব বাজারে প্রতিকেজি গাজর ৭০ থেকে ৮০ টাকা, ঢেঁড়স ৪০, মূলা ৩০ থেকে ৪০ টাকা, বেগুন ৪০ থেকে ৫০ টাকা, কচুর লতি ৪০ থেজে ৫০ টাকা, ঝিঙা ৪০ টাকা, করলা ৩০ থেকে ৪০ টাকা, কাকরোল ৩৫ থেকে ৫০ টাকায় বিক্রি করতে দেখা গেছে।
প্রতি পিস বাঁধাকপি ও ফুলকপি ২৫ থেকে ৩০ টাকায়, লাউ ৪০ থেকে ৫০ টাকায় এবং জালি কুমড়া ৩০ থেকে ৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
সবজি বিক্রেতা আনোয়ার বাংলানিউজকে বলেন, এখন সবজির ভরা মৌসুম হওয়ায় দাম কমেছে। কয়েকদিন আগে সবজির গাড়ি আসতে না পারায় দাম বেড়েছিল।
কম দামে সবজি কিনতে পেরে খুশি ক্রেতারা। শাকিল নামে শান্তিনগর বাজারের এক ক্রেতা বাংলানিউজকে বলেন, সবজির দাম কম হলে ক্রেতারা স্বস্তিতে কিনতে পারেন। দাম কম হলে বাজারে আসতেও ভালো লাগে।
এসব বাজারে প্রতি আঁটি শাকে দাম কমেছে তিন থেকে পাঁচ টাকা পর্যন্ত। প্রতি আঁটি কলমি শাক পাঁচ থেকে সাত টাকায়, লাল শাক সাত থেকে আট টাকায়, লাউ শাক ২৫ থেকে ৩০ টাকায়, পালং শাক ১৫ টাকায়, পুঁই শাক ২০ থেকে ২৫ টাকায় বিক্রি করতে দেখা গেছে।
অন্যদিকে, প্রতিকেজি ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ১৩০ থেকে ১৪০ টাকায়, লেয়ার ২৩০ থেকে ২৫০ টাকায়, গরুর মাংস ৪৮০ থেকে ৫০০ টাকায়, খাসির মাংস ৭৫০ থেকে ৭৮০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
অপরিবর্তিত রয়েছে ডাল, তেল ও মসলার দাম। প্রতিকেজি সিরাজ মিনিকেট ও মিনিকেট চাল ৬০ টাকায় বিক্রি করতে দেখা গেছে। প্রতিকেজি মসুর ডাল (দেশি) ১০০ টাকায়, মসুর ডাল মোটা ৭০ টাকায়, মুগ ডাল ১২০ টাকায়, ভোজ্যতেল প্রতি লিটার খোলা ৯০ টাকায় ও বোতলজাত ১০৮ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
তবে বাড়তি দামে বিক্রি হচ্ছে আদা। প্রতিকেজি আদা ১৭০ টাকা থেকে ১৮০ টাকায়, রসুন ভারতীয় প্রতিপাল্লা (পাঁচ কেজি) ২৮০ টাকায় ও দেশি রসুন ২৬০ টাকায় বিক্রি করতে দেখা গেছে। অন্যদিকে পেঁয়াজ (দেশি) ৪০ টাকা, ভারতীয় ৩০ টাকা, আলু ৩০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করতে দেখা যায়।
বাংলাদেশ সময়: ০৯০১ ঘন্টা, নভেম্বর ০২, ২০১৮
ইএআর/এসআই